২০১৩ সালের সুখস্মৃতি সাকিবদের প্রেরণা
এশিয়া কাপের দ্বিতীয় ম্যাচে আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) ক্যান্ডির পাল্লেকেলে ক্রিকেট স্টেডিয়ামে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এ নিয়ে দ্বিতীয়বার পাল্লেকেলেতে খেলতে নামবে বাংলাদেশ। এর আগে প্রথম ও শেষবার ২০১৩ সালে স্বাগতিক দেশটির বিপক্ষে খেলেছিল বাংলাদেশ। ম্যাচটিতে বৃষ্টি আইনে ৩ উইকেটের জয় পেয়েছিল টিম টাইগার্স।
২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কা সফরে তিন ম্যাচের সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেটি পাল্লেকেলেতে খেলে বাংলাদেশ। ঐ ম্যাচে টস হেরে প্রথমে বোলিং করতে নামে বাংলাদেশ। তিলকারত্নে দিলশানের সেঞ্চুরিতে ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ৩০২ রানের বড় সংগ্রহ পায় লঙ্কানরা। ১২টি চারে ১২৮ বলে ১২৫ রান করেছিলেন দিলশান। বাংলাদেশের বাঁ-হাতি স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক ১০ ওভারে ৬২ রানে ৫ উইকেট নেন।
বিজ্ঞাপন
জবাবে বৃষ্টি আইনে ২৭ ওভারে ১৮৩ রানের টার্গেট পায় বাংলাদেশ। ২৬ ওভারে ৭ উইকেটে ১৮৪ রান তুলে দারুণ জয়ের স্বাদ পায় টাইগাররা। নাসির হোসেন ২৭ বলে অপরাজিত ৩৩, এনামুল হক বিজয় ৪০, মোহাম্মদ আশরাফুল ২৯ ও জহিরুল ইসলাম ২৬ রান করেন।
সে সময় বাংলাদেশের অধিনায়ক ছিলেন মুশফিকুর রহিম। সিরিজটি ১-১ সমতায় শেষ হয়েছিল। সিরিজের প্রথম ম্যাচ ৮ উইকেটে হেরেছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয়টি বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়।
পাল্লেকেলের পিচ কেমন?
পাল্লেকেলের পিচ শুরু থেকেই ব্যাটিং সহায়ক হিসেবে পরিচিত। এখানে বেশিরভাগ ম্যাচেই ৩০০-এর কাছাকাছি স্কোর দেখা গিয়েছে। বিশেষ করে ২০২০ সালের পর থেকে রীতিমতো ব্যাটিং স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে এই মাঠ।
এখন পর্যন্ত ১২ বার তিনশ বা এর ওপর স্কোর হয়েছে এখানে। যার মাঝে ৭ টিই এসেছে ২০২০ সালের পর থেকে। জিম্বাবুয়ে কিংবা আফগানিস্তানেরও এই পিচে ৩০০ এর অধিক রান করার নজির আছে। এছাড়া ২৫০ থেকে ৩০০ এর মাঝে স্কোর ছিল ১০ বার। ২০০ এর নিচে অলআউট হওয়ার ঘটনা ঘটেছে ৬ বার। অবশ্য এখানে তিনশ রান চেজ করে জেতার নজির মাত্র তিনবার।
এফআই