এশিয়া কাপ-২০২৩
বাংলাদেশের ভেন্যু : ব্যাটিং স্বর্গ পাল্লেকেলে
প্রস্তুত এশিয়ান দেশগুলো। প্রস্তুত আয়োজক দুই দেশও। মহাদেশীয় ক্রিকেটের শ্রেষ্ঠত্বের আসর এশিয়া কাপের বাকি আর মাত্র ২ দিন। বিশ্বকাপের আগে ‘ড্রেস রিহার্সাল’ ওয়ানডে ফরম্যাটের এবারের আসর হবে হাইব্রিড মডেলে। যেখানে টুর্নামেন্টের ৪ ম্যাচ আয়োজন করবে পাকিস্তান। বাকি ৯ ম্যাচ আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা।
শিরোপার অন্যতম দাবিদার হিসেবে এবার খেলতে নামবে বাংলাদেশ। ওয়ানডে সুপার লিগে তৃতীয় দল হিসেবে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছে টিম টাইগার্স। বর্তমানে র্যাঙ্কিংয়েও আছে সাত নাম্বারে। স্বাভাবিকভাবেই তাই এশিয়া কাপ নিয়ে আশাবাদী চন্ডিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যরা।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকেও হিসেবের খাতায় রাখছেন ওয়াসিম
নিজেদের প্রিয় এই ফরম্যাটে শিরোপা জয় করার স্বপ্ন নিয়েই শ্রীলঙ্কায় পা রেখেছে টাইগাররা। এবারের আসরে ‘বি’ গ্রুপে আছে বাংলাদেশ। যেখানে প্রতিপক্ষ হিসেবে পাবে শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানকে। প্রথম ম্যাচে ক্যান্ডির পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলতে নামবে বাংলাদেশ।
এশিয়া কাপ নিয়ে ঢাকা পোস্টের ধারাবাহিক আয়োজনে আজ থাকছে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচের ভেন্যু পাল্লেকেলে স্টেডিয়াম--
এক নজরে পাল্লেকেলে
প্রতিষ্ঠাকাল | ২০০৯ |
দর্শক ধারণক্ষমতা | ৩৫ হাজার |
স্টেডিয়ামের আকার | দৈর্ঘ্য ২৪৩ মিটার, প্রস্থ ১৮৯ মিটার |
পিচের প্রকৃতি | ঘাস |
উইকেট | ব্যাটিং সহায়ক |
ফ্লাডলাইট | ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত |
ক্যান্ডি শহরের এই মাঠে এর আগে একবারই খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে আছে জয়ের সুখস্মৃতি। প্রতিপক্ষ ছিল স্বাগতিক লঙ্কানরাই। ২০১৩ সালের বৃষ্টিবিঘ্নিত সেই ম্যাচে বাংলাদেশ জয় পেয়েছিল ৩ উইকেটে।
পাল্লেকেলের পিচ শুরু থেকেই ব্যাটিং সহায়ক হিসেবে পরিচিত। এখানে বেশিরভাগ ম্যাচেই ৩০০-এর কাছাকাছি স্কোর দেখা গিয়েছে। বিশেষ করে ২০২০ সালের পর থেকে রীতিমতো ব্যাটিং স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে এই মাঠ।
এখন পর্যন্ত ১২ বার তিনশ বা এর ওপর স্কোর হয়েছে এখানে। যার মাঝে ৭ টিই এসেছে ২০২০ সালের পর থেকে। জিম্বাবুয়ে কিংবা আফগানিস্তানেরও এই পিচে ৩০০ এর অধিক রান করার নজির আছে। এছাড়া ২৫০ থেকে ৩০০ এর মাঝে স্কোর ছিল ১০ বার। ২০০ এর নিচে অলআউট হবার ঘটনা ঘটেছে ৬ বার। অবশ্য এখানে তিনশ রান চেজ করে জেতার নজির মাত্র তিনবার।
পরিসংখ্যান বলছে, পাল্লেকেলেতে হওয়া ৩৬ ম্যাচের মধ্যে ২০ ম্যাচেই জয় পেয়েছে পরে ব্যাটিং করা দল। আগে ব্যাট করে জয় এসেছে ১৫ বার। প্রথম ইনিংসে এই মাঠে গড় স্কোর ২৫৬। রানতাড়ায় তাই নিজেদের লম্বা ব্যাটিং লাইনআপ নিয়ে তাই এখানে জয়ের প্রত্যাশা করতেই পারে বাংলাদেশ। তবে আগে ব্যাটিং করে ৩০০ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করাতে পারলেও মানসিকভাবে অনেকটাই এগিয়ে থাকবে সাকিব বাহিনী।
অতীতে লঙ্কার এই মাঠে পেসারদের জন্য খুব বেশি সুবিধা দেখা যায়নি খুব একটা। যার ফলে বেশ কিছু হাই-স্কোরিং ম্যাচ দেখা গিয়েছিল। তবে ম্যাচ যতই গড়ায়, ততই স্পিন সহায়ক হতে থাকে উইকেট। এই পিচে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী পেসার হলেও গড় হিসেবে এগিয়ে থাকছেন স্পিনাররাই।
এশিয়া কাপের স্কোয়াডে থাকা মেহেদী হাসান মিরাজ, নাসুম আহমেদ কিংবা সাকিব আল হাসানের বোলিং এর ওপর তাই কিছুটা বাড়তি নজর রাখতেই চাইবেন ক্রিকেট ভক্তরা। এছাড়া পেস বোলিং ইউনিটে মুস্তাফিজুর রহমান কিংবা হাসান মাহমুদের সুইংয়ের সুবিধাও পেতে পারে বাংলাদেশ।
নিজ দেশের মাঠ হলেও এখানে লঙ্কানদের পরিসংখ্যান নিশ্চিতভাবেই আশা জোগাবে টাইগার ভক্তদের। ৩৪ ম্যাচ খেলে মাত্র ১৪ ম্যাচে জয়ের মুখ দেখেছে স্বাগতিকরা। এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে লঙ্কানদের সেই দুর্ভোগই ধরে রাখার চেষ্টা করবে বাংলাদেশ।
জেএ/এফআই