সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ আইএল টি-টোয়েন্টি লিগে খেলতে বড় অঙ্কের প্রস্তাব পেয়েছেন পাকিস্তানি অধিনায়ক বাবর আজম। দেশটির সংবাদমাধ্যমের দেওয়া তথ্যমতে, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ২০ কোটি টাকা। আগামী ১৯ জানুয়ারি থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টুর্নামেন্টটি অনুষ্ঠিত হবে। তবে সেখানে অংশ না নিয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) খেলতে পারেন বাবর। পাকিস্তানের একাধিক সংবাদমাধ্যম এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন বলছে, আগের আসরে কোনো পাকিস্তানি ক্রিকেটারই আইএল টি-টোয়েন্টির আসরে খেলার অনুমতি পাননি। তবে এবার দ্বিতীয় আসরে শাহীন আফ্রিদি, শাদাব খান এবং আজম খানদের ডেজার্ট ভাইপারস দলের হয়ে খেলতে দেখা যেতে পারে। এছাড়া বাবর আজমের জন্য ইতোমধ্যে ১৫০ মিলিয়ন পাকিস্তানি রুপির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তাকে টুর্নামেন্টের দূত বানাতে চায় লিগ কর্তৃপক্ষ।

এখন পর্যন্ত আগামী বিপিএল শুরুর সময় চূড়ান্ত করেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে জানুয়ারির মাঝামাঝিতে ফ্র্যাঞ্চাইজি আসরটি শুরু হতে পারে। এই টুর্নামেন্ট শুরুর সম্ভাব্য সময় হিসেবে সংবাদমাধ্যমটি ১০ জানুয়ারির কথা উল্লেখ করেছে। যেখানে বাবর ও মোহাম্মদ রিজওয়ানসহ বেশ কয়েকজন পাকিস্তানি ক্রিকেটার অংশ নেবেন বলে জানিয়েছে তারা।

আরও পড়ুন >> সবার শীর্ষে থেকে রেকর্ডবুকে বাবর

এদিকে আমিরাতে লিগটিতে খেলতে ইতোমধ্যে ডেজার্ট ভাইপারসের সঙ্গে তিন মৌসুমের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন পেসার আফ্রিদি। ওই চুক্তিতে এই বাঁ-হাতি পেসার চার লাখ ডলার বেতন এবং ইমেজ স্বত্ব হিসেবে সবমিলিয়ে প্রায় ২০ কোটি টাকা পাবেন। যা এখন পর্যন্ত লিগটিতে সর্বোচ্চ দাম বলে উল্লেখ করেছে সংবাদমাধ্যমগুলো। তবে তার চেয়ে বেশি দামে অন্য কোনো ক্রিকেটারের সঙ্গে আমিরাতে টুর্নামেন্টে চুক্তিবদ্ধ হলে ক্ষতিপূরণও দেওয়া হবে আফ্রিদিকে।

প্রায় সমমূল্যের প্রস্তাব পেলেও বাবরকে দেখা যেতে পারে বাংলাদেশের লিগে। এর আগে রিজওয়ানসহ পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা প্রায় প্রতিটি বিপিএল আসরে খেলেছিলেন। বিপিএলের সবশেষ মৌসুমেও শোয়েব মালিক, হারিস রউফ এবং মোহাম্মদ নওয়াজ খেলেছেন রংপুর রাইডার্সের হয়ে। এছাড়া রিজওয়ান, খুশদিল শাহ, নাসিম শাহ, আবরার আহমেদ ও হাসান আলী কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স দলে ছিলেন। গত আসরে না খেললেও সিলেট ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে বিপিএলে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে বাবরের।

এএইচএস