দুবাই থেকে দেশে ফিরেই আজ (মঙ্গলবার) সকালে বরিশালে গেলেন টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। সেখানে অবশ্য ক্রিকেটীয় কোনো কাজে নয়। গিয়েছেন সমাজ সচেতনতার অংশ হিসেবে। বরিশালের আলহাজ্ব নূর মোহাম্মদ মুন্সী হাসপাতালের আয়োজনে বিনামূল্যে ঔষধ বিতরণ এবং রক্তদান কর্মসূচীতে অংশ নিয়েছেন সাকিব। 

মূলত হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা গৌরনদীর বাসিন্দা লন্ডন প্রবাসী ব্যারিষ্টার মনির হোসেনের আমন্ত্রণে সারা দিয়ে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে সকালে গৌরনদী সরকারি পাইলট মাধ্যমিক মাঠে নামেন সাকিব। এসময় গৌরনদীর সর্বস্তরের জনতা তাকে অভ্যর্থনা জানান।

এরপরই সুন্দরদী গ্রামের আলহাজ্ব নুর মোহাম্মদ মুন্সী হাসপাতালে বিনামূল্যে ঔষধ বিতরণ ও রক্তদান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। প্রিয় ক্রিকেটারকে এক নজর দেখার জন্য হাসপাতাল চত্বরে হাজার হাজার সাকিব ভক্তরা ভিড় জমান। এ সময় হাসপাতালের দোতলা থেকে হাত নেড়ে ভক্তদের শুভেচ্ছা জানান সাকিব। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত চিত্র নায়ক নিরব, মেকাপ আর্টিষ্ট সেলিনা মনির প্রমূখ।

এদিন গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন সাকিব আল হাসান। এ সময় টাইগার এই অধিনায়কের কাছে জানতে চাওয়া হয় ক্রিকেট নিয়ে তার স্বপ্ন কী? সাকিব বলেন, ‘এখন স্বপ্ন বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপ। বাকিটা পরে দেখা যাবে।’

আরও পড়ুন: তিন ফরম্যাটের অধিনায়ক সাকিবের মোট ভাতা কত? 

পরে ক্রিকেট নিয়ে নিজের পরিকল্পনা জানতে চাইলে সাকিব বলেন, ‘ঢাকায় আমার একাডেমি আছে। আর অবশ্যই সবারই ইচ্ছে থাকে যে সেক্টরের, সে চিন্তা করে কীভাবে ওই সেক্টরকে আরও ভালো করা যায়। আমারও ওরকম চিন্তা আছে। কিন্তু ওটা ভবিষ্যতে দেখা যাবে।’ 

বরিশালে সাকিবকে ঘিরে ভক্তদের জটলা। 

বরিশালে দাতব্য কাজে গিয়ে অধিনায়ক বলেন, ‘এখানে এসে খুবই ভালো লাগছে। আসলে মানুষের সঙ্গে মেশার সুযোগ তো ওভাবে হয় না। একটা মহৎ উদ্যোগের সঙ্গে থাকতে পেরে নিজের খুব ভালো অনুভূতি হচ্ছে। একই সঙ্গে যেহেতু বরিশালে খুব একটা আসা হয় না, ক্রিকেটে ওরকমভাবে আন্তর্জাতিক ম্যাচ যেহেতু হয় না। স্বাভাবিকভাবে আসার সম্ভাবনাটা খুবই কম থাকে।’

আরও পড়ুন: সাকিবের থেকে সিরিয়াস কেউ নেই : পাপন

‘এভাবে আসতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। আশা করি শুধু বরিশাল না, পুরো বাংলাদেশের সবাই আমাদের সবসময় সমর্থন দিয়ে থাকে। বরিশালবাসীও অনেক বেশি সাপোর্ট করবে। আমরা সামনে যে বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপ আছে ওখানে ভালো করবো।’-যোগ করেন সাকিব।

সাকিব ছাড়াও কথা বলেছেন হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ব্যারিস্টার মনির হোসেন। হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠা করা নিয়ে তিনি বলেন, আমার পিতা সঠিক সময় চিকিৎসা না পেয়ে ৮ বছর প্যারালাইজড ছিলেন। আমি জানি সুচিকিৎসা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য হাসপাতালের উদ্যোগে বিনামূল্যে ইসিজির ব্যবস্থা দ্রুতই চালু করা হবে। এই অঞ্চলের মানুষের উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে আলহাজ্ব নুর মোহাম্মদ মুন্সী হাসপাতাল কাজ করবে। 

সৈয়দ মেহেদী হাসান/এসএইচ