নিউজিল্যান্ড-সংযুক্ত আরব আমিরাত সিরিজ
‘নিউজিল্যান্ডের হারের কারণ ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট’
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জয়, যেকোনো বিচারেই সংযুক্ত আরব আমিরাতের জন্য বড় পাওয়া। এমনকি তাদের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জয় বললেও বোধহয় ভুল বলা হবে না! শুরুতে ব্যাটিং করতে নেমে আট উইকেট হারিয়ে ১৪২ রান তুলেছিল নিউজিল্যান্ড। জবাবে ২৬ বল এবং সাত উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় স্বাগতিকরা। যা টেস্ট খেলুড়ে কোনো দলের বিপক্ষে তাদের প্রথম জয়।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আরব আমিরাতের জয়ের পর দলটিকে অভিনন্দন জানিয়ে একটি টুইট করেছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির জন্য এটি বড় অর্জন উল্লেখ করে অশ্বিন লিখেছেন, ‘নিউজিল্যান্ডকে হারানোটা আরব আমিরাতের বড় অর্জন। এর মাধ্যমে এটিও দেখা গেল যে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট কী করতে পারে।’
বিজ্ঞাপন
অশ্বিনের মতে, আরব আমিরাতের কাছে নিউজিল্যান্ডের এই হারে প্রভাব রয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের। গত কয়েক বছরে বিশ্বজুড়ে কয়েকটি ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট চালু হয়েছে। এই টুর্নামেন্টগুলোতে আইসিসির সহযোগী সদস্য দেশের অনেক ক্রিকেটার খেলেন। ফ্র্যাঞ্চাইজি টি–টোয়েন্টির সুবাদে খেলোয়াড়দের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা বাড়ছে, দলগুলোর মধ্যে কমে আসছে ব্যবধান। আর সে ধারাবাহিকতায় আইসিসির পূর্ণ সদস্য নয় এমন দেশের কাছে টি–টোয়েন্টি হারল নিউজিল্যান্ড।
ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের প্রভাব সম্পর্কে একটি উদাহরণও টেনেছেন অশ্বিন। উল্লেখ করেছেন আফগানিস্তানের রশিদ খানের কথা, ‘রশিদ খান যখন আইপিএলে আসে, আফগানরা তখনো বিশ্বকাপে ভীতি ছড়ানো ক্রিকেট দল হয়ে ওঠেনি। কিন্তু এখন সেটা কেউ অস্বীকার করতে পারে না। ভবিষ্যতে দেখা যাবে আইপিএলে আরও দেশের প্রতিনিধিত্ব থাকবে এবং তারা নিজেদের দেশের ভাগ্যও পাল্টে দেবে।’
এইচজেএস