লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে (এলপিএল) প্রথম সুযোগেই ফাইনালে পা রাখতে পারতেন সাকিব-লিটনদের গল টাইটান্স। তবে সেই সুযোগ তারা কাজে লাগাতে পারেননি। ব্যাট হাতে বড় ইনিংস খেলতে না পারলেও বরাবরের মতোই বল হাতে উজ্জ্বল সাকিব আল হাসান। তবে আবারও ব্যাটিংয়ে একরাশ হতাশা উপহার দিয়েছেন বাংলাদেশি ওপেনার লিটন দাস। পরবর্তীতে তাদের ১৪৬ রানের বিপরীতে ডাম্বুলা অরা ৬ উইকেটের বড় জয় নিয়ে ফাইনালে পা রেখেছে।

আজ (বৃহস্পতিবার) প্রথম কোয়ালিফায়ারে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামে গল। অফফর্মে দীর্ঘদিন ধরে ধারাবাহিক লঙ্কান ব্যাটার ভানুকা রাজাপাকসে এদিনও রানের খাতা খোলার আগেই ফিরে গেছেন। অল্প সময়ের ব্যবধানেই ফিরে যান লিটনও। পেসার হেইডেন কারকে বেরিয়ে এসে তুলে মারতে গিয়ে ডিপ থার্ড ম্যানে অ্যালেক্স রসের হাতে ক্যাচ দেন। ৭ বলে তিনি মাত্র ৮ রান করেন।

এরপরই উইকেটে গিয়ে সাকিব প্রথম তিন বল ডট খেলার পর কাভার ড্রাইভে চার মারেন কারকে। ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকে বেরিয়ে এসে বাউন্ডারি মারেন তিনি মিড অনের ওপর দিয়ে। নুর আহমাদকে সুইপ করে পরের ওভারে আরেকটি চার মারেন। তবে তার ইনিংসটি বেশি বড় করতে পারেননি। স্পিনার ধনাঞ্জয়াকে স্লগ সুইপ করে বাউন্ডারির কাছে ধরা পড়ে ১৯ রানেই (১৭ বল) শেষ হয় সাকিবের ইনিংস।

সাকিবদের দলকে বলতে গেলে একাই টানেন লাসিথ ক্রসপুল। ইনিংসের শুরুতে নেমে শেষ ওভারে রান আউট হওয়া ব্যাটসম্যান ৬১ বলে ৭ চারে করেন ৮০ রান। শেষ পর্যন্ত গলের ইনিংস গুটিয়ে যায় ১৪৬ রানে। ডাম্বুলার হয়ে ১৮ রানে তিনটি উইকেট নেন হেইডেন কার।

জবাবে ব্যাট করতে নামা ডাম্বুলার উদ্বোধনী জুটি ভেঙেছেন সাকিব। তার আগেই আভিষ্কা ফার্নান্দো ১৪ বলে ২৪ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেছেন। এরপর সাদিরা সামারাবিক্রমা ১৩ রানে ফিরলেও দলকে জয়ের পথে এগিয়েছেন কুশল মেন্ডিস ও কুশল পেরেরা। ৪৫ বলে ৬ চারে ৪৯ রান করেছেন মেন্ডিস। দলীয় ১৩৩ রানে তিনি বিদায় নিলেও ততক্ষণে প্রায় জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ডাম্বুলা। 

শেষ ওভারে ৫৩ রান করে ফিরে যান পেরেরাও। তার ৩৯ বলের দুর্দান্ত ইনিংসটিতে ছিল ৪টি চার ও ৩টি ছয়ের মার। পরে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন ধনাঞ্জয়া ডা সিলভা ও অ্যালেক্স রস। সাকিব ছাড়াও গলের হয়ে একটি করে উইকেট নিয়েছেন সেকুগে প্রসন্ন, তাবরাইজ শামসি ও দাসুন শানাকা।

এলিমিনেটর ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে জাফনা কিংস ও বি-লাভ ক্যান্ডি। তাদের মধ্যে জয়ী দল ফাইনালে ওঠার লক্ষ্যে আবার সাকিবদের বিপক্ষে লড়বে।

এএইচএস