বিশ্বকাপের আগে শুধু মাঠের ক্রিকেট না, মাঠের বাইরের মানসিক চাপটাও সামাল দেয়া জরুরি। আর সে কারণেই কিনা মনোবিদের শরণাপন্ন হতে হয়েছে ক্রিকেটারদের। বাংলাদেশের ক্রিকেটে মনোবিদের চর্চা চলে আসছে বেশ আগে থেকেই। আর এর বিপরীতে সাফল্যটাও ছিল চোখে পড়ার মতোই। যার সবশেষ সংযোজন ফিল জন্সির এক সপ্তাহের ‘বিশেষ’ ক্লাস। 

গেল ১২ আগস্ট শনিবার প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ দলের অনুশীলনে দেখা যায় ফিল জন্সিকে। এরপর থেকে অস্ট্রেলিয়ান এই মনোবিদকে ক্রিকেটারদের সঙ্গে টানা কাজ করতে দেখা যায়। তবে সাময়িক সময়ের সেই কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে, যে কারণে জন্সি মিরপুরকে বিদায় বলতে বাধ্য হচ্ছে। 

আরও পড়ুন: রকিবুল কাণ্ডে বিব্রত বিসিবি!

অবশ্য বিদায় বিদায় আজ বৃহস্পতিবার পেয়েছেন ক্রিকেটারদের অটোগ্রাফকৃত একটি জার্সি। দিনের শুরুতে দলের ম্যানেজার নাফিস ইকবাল ডেকে আনেন হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে। সেই সময় জড়ো হন দলের সব কোচিংস্টাফ, ক্রিকেটাররা। এরপর শামীম পাটোয়ারী ও শেখ মাহেদী জার্সি তুলে দেন জন্সির হাতে।

এক সপ্তাহ জাতীয় দলের সঙ্গে কাজ শেষে মনোবিদ জন্সি আজ রাতেই দেশ ছেড়ে যাবেন। জন্সির আগে গেল মাসে অ্যালান ব্রাউনকেও নিয়ে এসেছিল বিসিবি। তিনিও মানসিক দিক নিয়ে কাজের সুবাদে প্রায় দুই সপ্তাহ জাতীয় দলের সঙ্গে ছিলেন। 

অস্ট্রেলিয়ান এই মনোবিদ অবশ্য এবারই প্রথম আসেননি বাংলাদেশে। এর আগে ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগের সময়েও এসেছিলেন কাজ করতে। এবার এসেছিলেন এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপকে সামনে রেখে ক্রিকেটারদের মানসিক অবস্থান দেখতে। 

এসএইচ/জেএ