অ্যাশেজ সিরিজের আগে মঈন আলীকে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ দিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে ফিরিয়েছিলেন বেন স্টোকস। এবার সেই একই গল্প আরও একবার দেখতে চলেছে ইংলিশ ক্রিকেট। যেখানে ফিরে আসা খেলোয়াড়ের নামই স্টোকস। আর এবার তাকে অনুরোধ করেছিলেন অধিনায়ক জস বাটলার। আর সেই ডাকে সাড়াও দিয়েছেন ২০১৯ বিশ্বকাপ ফাইনালের ম্যাচসেরা খেলোয়াড়। 

বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে স্টোকসকে ফেরানোর জন্য শেষ কয়েকদিন ধরেই দৌড়ঝাঁপ করছিলেন ইংলিশ অধিনায়ক বাটলার। দিনকয়েক পর স্টোকস নিজেই জানিয়েছেন, ফেরার জন্য প্রস্তুত তিনি। ইংলিশ গণমাধ্যম ডেইলি টেলিগ্রাফ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছে।  

আরও পড়ুন: মঈনের মতো স্টোকসকেও ফেরাতে চায় ইংল্যান্ড

ইংল্যান্ডের সাদা বলের কোচ ম্যাথু মটের আগ্রহের কারণেই শুরু হয় স্টোকসকে ফেরানোর প্রক্রিয়া। জানিয়েছিলেন, স্টোকসের জন্য তার দলের দরজা সবসময়ই খোলা। এমনকি চোটের কারণে বল করতে না পারলেও আপত্তি নেই মটের, ‘সব সময়ই বলে এসেছি, তার বোলিংটা বাড়তি। তবে ব্যাটিংয়ে সে কী করে দেখুন, এমনকি ফিল্ডিংয়েও। অ্যাশেজে তাকে দেখে মনে হয়েছে, তার উপস্থিতির গুরুত্ব অনেক। ওয়ানডে ক্রিকেটেও অনেক বছর ধরে পারফর্ম করেছে সে, ফলে মূল্যবান এক সম্পদ।’

চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে হাঁটুর চোটে আক্রান্ত হন স্টোকস। এরপরেই মিস করেছেন আইপিএল। এমনকি অ্যাশেজেও খেলেছেন বিশেষজ্ঞ ব্যাটার হিসেবে। ৫ ম্যাচের সিরিজে বল করেছেন মোটে ২৯ ওভার। সব মেনেই এই অলরাউন্ডারকে দলে নিতে চান ম্যাথু মট। 

২০১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে ম্যান অব দ্য ম্যাচ ছিলেন স্টোকস। সবশেষ রঙ্গিন পোশাকে খেলেছেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালে। সেখানেও ছিল ৫৫ রানের ম্যাচজয়ী এক ইনিংস। স্বভাবতই ভারতে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে ফরম্যাটের বিশ্বকাপে স্টোকসকে দলে পেতে চান ইংলিশ কোচ। 

স্টোকসের সঙ্গে পেসার জফরা আর্চারকেও দলে রাখার আশা করছে ইংল্যান্ড। চোটের কারণে বেশ কিছুদিন ধরেই বাইরে থাকা এ পেসারকে বিশ্বকাপে খেলানোর ঝুঁকি নেওয়া হবে, এমন বলেছিলেন মট। গত বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের সফলতার পেছনে বড় ভূমিকা আছে তার। 

আজ বিশ্বকাপের প্রাথমিক একাদশ ঘোষণা করার কথা রয়েছে। যেখানে স্টোকসের পাশাপাশি দেখা যেতে পারে জফরা আর্চারকেও। 

সীমিত ওভারে ইংল্যান্ডের পরবর্তী সিরিজ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। আগামী ৮ সেপ্টেম্বর শুরু হবে ওয়ানডে সিরিজ। এর আগে ৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই বিশ্বকাপের প্রাথমিক দল ঘোষণা করতে হবে। যদিও ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রাথমিক দলে আইসিসির অনুমোদন ছাড়াই পরিবর্তন আনা যাবে। এরপরে পরিবর্তন আনা হলে আইসিসির অনুমোদনের দরকার হবে। 

জেএ