ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচের জন্য দীর্ঘ সময়ের অপেক্ষায় থাকতে হয় ক্রিকেটভক্তদের। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশের রাজনৈতিক তেজ তাদের দ্বিপক্ষীয় কোনো সিরিজে মুখোমুখি হতে দেয় না। সেই সুযোগ কেবল আইসিসি ও এসিসির টুর্নামেন্টের সৌজন্যে আসে। আসন্ন ওয়ানডে বিশ্বকাপে পাকিস্তানের অংশগ্রহণের শঙ্কা কয়েকদিন আগেই শেষ হয়েছে। ফলে সব ঠিক থাকলে আগামী ১৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত তবে দুদলের মধ্যকার বহুল প্রতীক্ষিত হাইভোল্টেজ ম্যাচটি। সেই ম্যাচে ভালো করার কৌশল শিখিয়ে দিলেন অনিল কুম্বলে।

ভারতের কিংবদন্তি এই স্পিনারের মন্তব্য অবশ্য বেরসিক মনে হতে পারে। কিন্তু তার বর্ণনার দৃষ্টিভঙ্গি দেখলে সেটি স্বাভাবিক বলেই মনে হবে। দুই চিরপ্রত্দ্বিন্দ্বী দলের মুখোমুখি লড়াই মানে ক্রিকেটারদের অপরিসীম চাপ। সেই চাপ সামলে স্বাভাবিক পারফর্ম করা বেশ কঠিন বলে মনে করছেন কুম্বলে। তাই তার পরামর্শ, ভারত–পাকিস্তান ম্যাচকে অন্য সব সাধারণ ম্যাচের চোখেই দেখা উচিত।

একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বেঙ্গালুরুতে হাজির হয়ে এ নিয়ে কথা বলেছেন কুম্বলে। এ সময় তিনি উত্তরসূরীদের স্বাভাবিক অন্য ম্যাচ মনে করেই খেলতে বলেন, ‘আমাদের সময়ে বলা হতো, কেনিয়ার কাছে হারো, সমস্যা নেই। কিন্তু পাকিস্তানের কাছে হারা যাবে না। খেলোয়াড়দের ওপর চাপ এবং প্রত্যাশাটা এমনই ছিল। তখন ভারত–পাকিস্তান ম্যাচকে এমন চোখেই দেখা হতো। এ কারণে ভালো করার উপায় হলো, এটাকে অন্য সব ম্যাচের মতোই দেখা।’

আরও পড়ুন >> ভারত বিশ্বকাপের সেমিতে পাকিস্তানকে দেখছেন শেবাগ

ভারতের হয়ে টেস্টে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি (৬১৯) এই লেগ স্পিনার এমন চাপের মুখে অনেকবারই পড়েছেন। ২৪ বছর আগে দিল্লি টেস্টে এক ইনিংসে পাকিস্তানের ১০ উইকেট নেওয়া নিয়েও কথা বলেছেন কুম্বলে, ‘১০ উইকেট নেওয়ার স্বপ্ন নিয়ে মাঠে নামিনি। যদিও এটা যেকোনো বোলারেরই স্বপ্ন। কিন্তু কলকাতায় এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পরের ম্যাচেই পাকিস্তানের বিপক্ষে একটি উইকেট নিতেই খুব কষ্ট হয়েছিল। ক্রিকেট খেলাটা এমনই।’

আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে পাকিস্তানের বিপক্ষে বরাবরই উজ্জ্বল ছিলেন কুম্বলে। ১৫ টেস্টে নিয়েছেন ৮১ উইকেট। এর মধ্যে সবচেয়ে স্মরণীয় পারফরম্যান্স ১৯৯৯ দিল্লি টেস্টে এক ইনিংসে পাকিস্তানের সবগুলো উইকেটই তুলে নেওয়া! ওয়ানডেতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে ৩৪ ম্যাচে নিয়েছেন ৫৪ উইকেট।

আরও পড়ুন >> এক বছরে বিসিসিআইয়ের আয় সাড়ে চার হাজার কোটি রুপি

তবে বিশ্বকাপের আগে এশিয়া কাপেও মুখোমুখি লড়াইয়ে নামবে পাকিস্তান-ভারত। ২ সেপ্টেম্বর ক্যান্ডিতে অনুষ্ঠিত হবে তাদের গ্রুপপর্বের ম্যাচটি। সুপার ফোরে দুই দল উঠলে তাদের ম্যাচ হবে ১০ সেপ্টেম্বর, কলম্বোতে। পরবর্তীতে একই ভেন্যুতে ১৭ সেপ্টেম্বর এবারের এশিয়া কাপের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে। এবার যৌথভাবে এশিয়া কাপের আসর বসবে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায়। ভারতের ম্যাচ পাকিস্তানের বাইরে রাখতেই মানা হচ্ছে এই হাইব্রিড মডেল।

এএইচএস