জাতীয় দলের জার্সিতে তাওহীদ হৃদয়ের অভিষেক হয়েছে মাত্র ৫ মাস আগে। এরইমাঝে নিজের ব্যাটিং সামর্থ্যের জানান দিয়েছেন তিনি। অল্পদিনেই জাতীয় দলের মিডল অর্ডারে নির্ভরযোগ্য নাম হয়ে উঠেছেন। সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে ডাক পেয়েছেন লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগে। সেখানেও রেখেছেন প্রতিভার স্বাক্ষর। বিদায়বেলায় তার দল জাফনা কিংস তাই কৃতজ্ঞতা জানিয়ে লিখেছে, ‘ধন্যবাদ হৃদয় ভাই’। 

জাফনা কিংসে হৃদয় ডাক পেয়েছিলেন পাকিস্তানের শোয়েব মালিকের পরিবর্তে। পাকিস্তানি এই খেলোয়াড় যোগ দিয়েছেন দলের সাথে। আর ৮ অনাপত্তিপত্রের মেয়াদ শেষে ফিরে আসছেন তাওহীদ হৃদয়। বিদায়বার্তায় তাকে ফেসবুকে ধন্যবাদ দিয়েছে জাফনা কিংস। 

জাফনার ভ্যারিফাইড ফেসবুক পেইজে লেখা হয়েছে, ‘তিনি এলেন, জয় করলেন। কিন্তু দূর্ভাগ্যবশত আমাদের ছেড়ে চলে যেতে হচ্ছে তাকে। আমরা তরুণ এই সুপারস্তারের খুব উজ্জ্বল এক ভবিষ্যত কামনা করি। ধন্যবাদ হৃদয় ভাই।’  

ফ্র্যাঞ্চাইজ ভিত্তিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বড় এক নাম মালিক। তার বদলি হিসেবে বাংলাদেশের তরুণ হৃদয়ের উপর চাপটাও ছিল বড়। হৃদয় সেই চাপ সামলেছেন। জাফনাকে রেখেছেন প্লে-অফের দৌড়ে। এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচে ৩ জয় নিয়ে লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট টেবিলের তৃতীয় স্থানে আছে জাফনা কিংস। 

জাফনার জার্সিতে ৬ ম্যাচ খেলেছেন হৃদয়। প্রথম ম্যাচেই খেলেছেন ৫৪ রানের ম্যাচজয়ী ইনিংস। এরপর থেকেই নিয়মিত রান এসেছে তার ব্যাটে। মাঝে এক ম্যাচে গোল্ডেন ডাক মারলেও শেষ ম্যাচে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন এই তরুণ। 

আরও পড়ুন: লঙ্কার লিগে বাংলাদেশিদের দাপট

টুর্নামেন্টের ৬ ম্যাচ শেষে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছেন তাওহীদ হৃদয়। ৩৮ এর বেশি গড়ে করেছেন ১৫৫ রান। নিজের প্রথম ফ্র্যাঞ্চাইজ লিগ হিসেবে হৃদয় খেলেছেন স্মরণীয় এক টুর্নামেন্ট। 

হৃদয়ের চলে আসার পর লঙ্কান ফ্র্যাঞ্চাইজ লিগে টিকে আছেন আরও তিন বাংলাদেশি। সাকিব আল হাসান আছেন টেবিলের তলানিতে থাকা গল টাইটান্সে। একই দলে আছেন মোহাম্মদ মিঠুনও। যদিও এখন পর্যন্ত গলের জার্সিতে দেখা যায়নি তাকে। একইরকম ভাগ্য শরীফুল ইসলামের। কলম্বো স্ট্রাইকার্সের হয়ে এখনও মাঠে নামা হয়নি এই পেসারের। 

জেএ