দেশের বাইরে প্রথমবারের মতো ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগে (এলপিএল) খেলতে গিয়েছিলেন তাওহীদ হৃদয়। দারুণ ব্যাটিংয়ে তিনি সেই মিশনটা স্মরণীয় করে রাখলেন। চলমান আসরটিতে শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেছেন হৃদয়। কারণ ৮ আগস্ট পর্যন্ত তাকে এলপিএলে খেলার ছাড়পত্র দিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। লিগটিতে নিজের শেষ ম্যাচেও এই টাইগার ব্যাটার ক্যামিও ইনিংস খেলেছেন। এতে ৬ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে হৃদয়ের দল জাফনা কিংস।

এদিন (মঙ্গলবার) টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে কলম্বো স্ট্রাইকার্স। আগের ম্যাচে বাবর আজমের সেঞ্চুরিতে জয় পাওয়া দলটির শুরুটা জাফনার বিপক্ষেও ভালো হয়েছিল। তবে মিডল অর্ডারে দ্রুত উইকেট হারালে বড় সংগ্রহের পথে বিঘ্ন ঘটে তাদের। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে জাফনাকে ৮ উইকেটে ১৪৭ রানের লক্ষ্য দেয় কলম্বো।

কলম্বোর হয়ে ওপেনিং জুটিতে মাত্র ৭ ওভারেই ৫৭ রান তুলে ফেলেন পাথুম নিশাঙ্কা ও বাবর আজম। এরপর ২৫ বলে ৭ চারে ৩৬ রান করা নিশাঙ্কা আউট হতেই তাদের ব্যাটিং লাইনআপ ধসে পড়ে। লঙ্কান ব্যাটারের বিদায়ের খানিক পরই ৭ রানের ব্যবধানে আরও তিন উইকেট হারায় কলম্বো। ১ ছক্কা ও ২ চারে বাবর করেন ২১ বলে ২৪ রান। এবারের এলপিএলে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ২৩৫ রান তার। ব্যাটে তিনি একটা করে সেঞ্চুরি ও ফিফটি করেছেন।

এরপর উইকেট ধরে রাখতে গিয়ে রানের চাকাও ধীরগতিতে চলেছে বাবরদের দলটির। তবে পাকিস্তানি অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নওয়াজের ২৭ (২০ বল), লাহিরু উধারার ২৯ (২৫ বল) এবং চামিকা করুনারত্নে করেন ২১ রান (১৮ বল)। যার ওপর ভর করে কিছুটা লড়াইয়ের পুঁজি পায় কলম্বো। জাফনার হয়ে দুটি করে উইকেট পান দিলশান মদুশঙ্কা ও দুনিথ ওয়াল্লালেগে।

রান তাড়ায় জাফনার কাজটা সহজ করে দিয়েছেন দুই ওপেনার নিশান মাদুশকা ও রাহমানউল্লাহ গুরবাজ। তাদের উদ্বোধনী জুটিতেই ৫.২ ওভারে আসে ৫৮ রান। গুরবাজ আউট হয়েছেন ৩ ছক্কা ও ৩ চারে ২১ বলে ৩৯ রান করে। মাদুশকার ইনিংসেও ৩টি করে ছক্কা ও চার। তিনি করেছেন ৩২ বলে ৪৬। এরপর অধিনায়ক থিসারা পেরেরার ৭ বলে ১৭ রানের ক্যামিও ইনিংসে ম্যাচ একেবারে হাতের নাগালে চলে আসে জাফনার।

ফলে হৃদয় যখন ব্যাটিংয়ে আসেন তখন ম্যাচ অনেকটাই জিতে গেছে জাফনা। তবে ম্যাচের শেষটা দারুণভাবে করেছেন এই টাইগার ব্যাটার। নাসিম শাহকে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে চার মেরে তিনি জয় তুলে নেন। তিনটি চারের বাউন্ডারিতে ৯ বলে ১৪ রান করে অপরাজিত ছিলেন হৃদয়। জাফনার হাতে ছিল আরও ৩৩ বল এবং ৬ উইকেট। হৃদয়ের ছাড়পত্রের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তিনি দেশে ফিরেই জাতীয় দলের ক্যাম্পে যোগ দেবেন।

এএইচএস