জাতীয় দলে সামর্থ্য দেখিয়ে প্রথমবারের মতো দেশের বাইরে ফ্র্যাঞ্চাইজি আসর লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগে (এলপিএল) খেলছেন তাওহীদ হৃদয়। আগের দুই ম্যাচে চল্লিশোর্ধ ইনিংসে দলের জয়ে অবদান রাখলেও, চতুর্থ ম্যাচে তিনি ভিন্ন চিত্রে হাজির। ফলে তার দল জাফনা কিংসও আসরের দ্বিতীয় হার দেখেছে। বিপরীতে দাপট দেখিয়ে ম্যাচটি জিতে নিয়েছে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার বি-লাভ ক্যান্ডি। 

শনিবার (৫ আগস্ট) কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করতে নেমে হৃদয়দের মাত্র ১১৭ রান সংগ্রহ করে। জাফনার ইনিংসের শুরুটা হয়েছিল হোঁচট দিয়ে। অভিজ্ঞ লঙ্কার অলরাউন্ডার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে আউট রহমানউল্লাহ গুরবাজ। এরপর তিনে ব্যাট করতে নামেন হৃদয়।

আগের দুই ম্যাচের মতো এবারও তিনি দারুণ কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন। দুশমন্থ চামিরাকে টানা দুটি চার মারেন এই বাংলাদেশি তরুণ ব্যাটার। তবে রান তোলার গতি এরপর আর ধরে রাখতে পারেননি। ইনিংসের সপ্তম ওভারে হাসারাঙ্গার বলে ক্যাচ দেন স্কয়ার লেগ বাউন্ডারিতে। ফলে ২২ বলে ৩ চারে গড়া হৃদয়ের ১৯ রানের ইনিংস থেমে যায়। চলতি আসরে এটিই সবচেয়ে কম রানের ইনিংস। এর আগের তিন ম্যাচে তার ব্যাটে পুঁজি যথাক্রমে ৩৯ বলে ৫৪, ২০ বলে ২৪ ও ২৩ বলে ৪৪* রান।

হৃদয়ের বিদায়ের পর নিয়মিত বিরতিতে আউট হয়েছেন ডেভিড মিলার ও থিসারা পেরেরারা। শেষদিকে সাত নম্বরে নামা দুনিত ওয়ালালাগের ২৭ বলে ৩৮ রানের অপরাজিত ইনিংস তাদের মোটামুটি মানের লক্ষ্যে নিয়ে যায়। নির্ধারিত ২০ ওভারে জাফনা সংগ্রহ ৭ উইকেটে ১১৭ রান। হাসারাঙ্গা ৪ ওভারে ৯ রানে তিন উইকেট নেন। এছাড়া ৩৬ রানে তিন উইকেট নেন নুয়ান প্রদীপ।

জবাবে মাত্র ১৩ ওভারেই জয় তুলে নেয় ক্যান্ডি। ৩১ রানে তারা ওপেনার দিনেশ চান্দিমালকে (২২) হারালেও ছন্দ ধরে রাখে। ফখর জামানকে নিয়ে হাসারাঙ্গা গড়েন ৭১ রানের জুটি। পরবর্তীতে এই পাকিস্তানি ব্যাটার ৪২ রানে থামলেও সহন আরাচিগেকে নিয়ে ম্যাচ শেষ করে আসেন ক্যান্ডি অধিনায়ক। ২২ বলে ৫টি চার ও ৩ ছক্কার বিনিময়ে ৫২ রানে হাসারাঙ্গা অপরাজিত ছিলেন।

এএইচএস