পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সঙ্গে গত ৩০ জুন চুক্তির মেয়াদ শেষ হলেও তা নবায়নে রাজি হচ্ছিলেন না বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানরা। মূলত বেতনের অঙ্ক নিয়ে তারা আপত্তি জানিয়ে আসছিলেন। তাদের সন্তুষ্ট করতে এবার বেশকিছু লোভনীয় প্রস্তাব দিতে যাচ্ছে পিসিবি। যেখানে বেতন বৃদ্ধির পাশাপাশি বিমা সুবিধা, ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে অংশগ্রহণ নীতিমালা এবং লভ্যাংশ বণ্টনের মতো বিষয়গুলোও তাদের অনুকূলে রাখার সম্ভাবনা রয়েছে।

সম্প্রতি পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা বেতন বৃদ্ধিসহ কয়েকটি দাবিতে নতুন চুক্তিতে স্বাক্ষর করা থেকে বিরত ছিলেন। নাজাম শেঠির নেতৃত্বাধীন পিসিবির সর্বশেষ ব্যবস্থাপনা কমিটি বাবরদের বেতন ৪৫ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব রেখে যায়। তবে ক্রিকেটাররা তারচেয়েও বেশি পরিমাণে বেতন চান।

আরও পড়ুন >> শোয়েব-সানিয়ার তিক্ত সম্পর্কে নতুন মোড়!

এদিকে, গত সপ্তাহেই পিসিবির চেয়ারম্যান জাকা আশরাফ ‘হাই প্রোফাইল’ একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব দিয়েছিল। পরবর্তীতে মিসবাহ-উল-হক, ইনজামাম-উল-হক ও মোহাম্মদ হাফিজের সমন্বয়ে সেই কমিটি দেয় পিসিবি। তাদের অধীনেই বাবরদের চুক্তির পুরো বিষয়টি পরিচালিত হচ্ছে। ক্রিকেট টেকনিক্যাল কমিটির সহায়তায় পিসিবিও বিষয়টি সুরাহা হবে বলে আশা করছে।

ক্রিকেট পাকিস্তানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পিসিবি প্রধান জাকা আশরাফ জানিয়েছেন, স্থিতিশীলতা আনার জন্য ক্রিকেটারদের কয়েক বছরের জন্যও প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে। নতুন চুক্তিতে তিন সংস্করণে খেলা ক্রিকেটার-যেমন বাবর, রিজওয়ান ও শাহিন শাহ আফ্রিদির মতো ক্রিকেটারদের প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে মাসে ৪৫ মিলিয়ন পাকিস্তান রুপির। যা আগের চুক্তির চেয়ে অনেক বেশি। আগের চুক্তিতে লাল বলে খেলা ক্রিকেটাররা মাসে পেতেন ১১ মিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি আর সাদা বলের ক্রিকেটাররা পেতেন ৯ লাখ ৫০ হাজার রুপি। এছাড়া ক্রিকেটারদের অন্য খাতেও আয় বাড়ানোর কথা ভাবছে পিসিবি।

জানা গেছে, বর্তমানে একজন ক্রিকেটারকে অনাপত্তিপত্র পেতে হলে প্রথমে প্রধান কোচের সম্মতি পেতে হয়, এরপর বোর্ডের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বিষয় পরিচালকের অনুমোদন দরকার হয়। ক্রিকেটাররা এ বিষয়ে সহজ নীতিমালার দাবি জানিয়েছেন। আর যদি কোনো কারণে ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে খেলতে না দেওয়া হয় সে ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ নীতি চালুর কথা বলেছিলেন তারা। সেই বিষয়টি ভাবছে পিসিবি। একইসঙ্গে টেস্ট ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহ বাড়াতে এই সংস্করণের ম্যাচ ফি বাড়ানোর কথা ভাবছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। যদিও পিসিবি লভ্যাংশ বণ্টনের বিষয়টি মানছে না।

এএইচএস