ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপে পাকিস্তান খেলবে কিনা সেটা এখনও ‘যদি-কিন্তু’র ওপর নির্ভর করছে। বাবর আজমদের ভারত যাত্রার বিষয়টি নিশ্চিত হবে দেশটির সরকারের দেওয়া ছাড়পত্রের পর। এরমধ্যে কয়েকজন মন্ত্রীকে সদস্য করে বানানো পাকিস্তানের উচ্চ পর্যায়ের কমিটি আজ (বৃহস্পতিবার) বৈঠকে বসেছিল। সেখানে তারা ভারতের নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখতে প্রতিনিধি দল পাঠানোর পাশাপাশি এ নিয়ে আইসিসির লিখিত পত্র চাওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

দেশটির সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ জানিয়েছে, ভারতে বিশ্বকাপ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ গঠিত কমিটির বৈঠক শেষ হয়েছে। বৈঠকে পিসিবি কর্মকর্তারা ছাড়াও পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী মরিয়ম আওরঙ্গজেব, কাশ্মীর বিষয়ক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা কামার জামান কাইরা ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিনা রব্বানি খার।

আরও পড়ুন >> ‘ভারতকে কাগজে-কলমে শক্তিশালী মনে হচ্ছে না’

এ সময় বিশ্বকাপে পাকিস্তানের অংশগ্রহণের বিষয়ে একটি ব্রিফিং দেওয়া হয়। পরে পিসিবির চেয়ারম্যান জাকা আশরাফও আসন্ন মেগা আসরে পাকিস্তানের অংশগ্রহণের বিষয়ে তার মতামত জানিয়েছেন।

এক সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহে একটি নিরাপত্তা প্রতিনিধিদল ভারত সফরে যাবে। এ বিষয়ে পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে ভারত ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) সঙ্গে যোগাযোগ করবে। পরবর্তীতে বিশ্বকাপ ম্যাচের ভেন্যুগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যালোচনা করবে পাকিস্তানের প্রতিনিধি দল। শুধু তাই নয়, আইসিসি থেকে পূর্ণ নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়ে একটি লিখিত পত্রও চাইবে পাকিস্তান। এরপরই তারা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।

আরও পড়ুন >> বিশ্বকাপের বদলি সূচিতে পাকিস্তানের সায়

চলতি বছরের ৫ অক্টোবর থেকে ভারত বিশ্বকাপের পর্দা উঠবে। উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হবে আগের আসরের দুই ফাইনালিস্ট ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড। এর পরদিনই (৬ অক্টোবর) হায়দরাবাদে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ রয়েছে পাকিস্তানের। আইসিসির সূচি অনুসারে আগামী ১৫ অক্টোবর আহমেদাবাদে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল তাদের। কিন্তু সেদিন গুজরাটে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উৎসব থাকায় সেই সূচি একদিন (১৪ অক্টোবর) আগানো হয়েছে।

এএইচএস