টেস্ট ক্রিকেটে নতুন এক ধারার জন্ম দিয়েছে ক্রিকেটের জনক ইংল্যান্ড। সাধারণত টেস্ট ধীরগতির খেলা হলেও এবার এক আক্রমণাত্মক টেস্ট উপহার দিচ্ছে দেশটি। কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালাম আর অধিনায়ক বেন স্টোকসের নতুন ধারার এই ক্রিকেটকে বলা হচ্ছে ‘বাজবল।’ আর নতুন এই বাজবল নিয়ে ক্রিকেট অঙ্গনে আলোচনাও হচ্ছে বিস্তর। 

ক্রিকেট অঙ্গনে প্রশ্ন উঠেছে এমন বাজবল খেলা অন্য যেকোন দলের পক্ষে কতখানি সম্ভব। ভারতের ব্যাপারে অনেকে আগ্রহ দেখালেও, দেশটির স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন মনে করেন, ভারত বাজবলে সফল হবেনা। বরং এর সুবাদে কয়েকজনকে বাদও পড়তে হতে পারে। 

বাজবল নিয়ে অভিজ্ঞ এই স্পিনার বলেন, ‘ধরা যাক, এই পালাবদলের সময়ে ভারত বাজবল খেলা শুরু করল। ধরা যাক হ্যারি ব্রুকের মতো সব বলেই ব্যাট চালাল কেউ, এরপর আউট হয়ে গেল, আমরা দুটি ম্যাচ হারলাম। এরপর আমরা কী করব? আমরা কি বাজবল এবং খেলোয়াড়দের সমর্থন দেব? আমরা একাদশ থেকে অন্তত চারজনকে বাদ দেব। আমাদের সংস্কৃতি সব সময়ই এমন ছিল। ফলে অন্যদের কাজে এসেছে মানেই আমরা অন্যদের ধরন নকল করতে পারব না।’

আরও পড়ুন: টেস্ট বাঁচাতে বাংলাদেশসহ সবার সমান সুযোগ চান নাসের

বাজবল কেন ইংল্যান্ডে সফল তার ব্যাখ্যাও আছে এই ক্রিকেটারের কাছে, ‘ এটি ইংল্যান্ডে কাজে দিয়েছে কারণ তাদের খেলার ধরনের সঙ্গে ম্যানেজমেন্ট পুরোপুরি একমত। নির্বাচকেরা খেলোয়াড়দের এভাবে খেলতে উৎসাহ দেয়। এমনকি তাদের দর্শক, যারা টেস্ট ম্যাচ দেখে—তারাও এমন খেলাকে সমর্থন দেয়। আমরা সেটি পারব না।’

বাজবল তত্ত্বে মূলত টেস্টেও আগ্রাসী ব্যাটিং এবং বোলিংয়ে গুরুত্ব দিয়ে থাকে ইংল্যান্ড। একইসাথে বিভিন্ন সময় প্রতিপক্ষের ওপর মানসিক চাপ সৃষ্টিও করার দিকেও নজর বাড়িয়েছে দলটি। 

সদ্য সমাপ্ত অ্যাশেজেও এমন আগ্রাসী ক্রিকেট উপহার দিয়েছে ইংলিশরা। ২-০ তে পিছিয়ে পড়া সিরিজে এমন আগ্রাসী খেলার কারণেই ২-২ এ সমতায় আসতে পেরেছে দলটি।

ইংল্যান্ডের পরবর্তী টেস্ট সিরিজ ভারতের বিপক্ষেই। আগামী ২৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজটি। ভারতের স্পিনিং পিচে বাজবল ঠিক কতখানি কার্যকর হবে সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।

জেএ