প্রথম ম্যাচে ১১৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নামেননি ভিরাট কোহলি-রোহিত শর্মারা। তাতে ভারত পেয়েছে কষ্টের জয়। আর দ্বিতীয় ম্যাচে একাদশেই ছিলেন না এই দুজন। তাতে ভারতের হয়েছে ভরাডুবি। ম্যাচ তারা হেরেছে ৬ উইকেটে।    

প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ বলেই কিনা দলে কিছু পরীক্ষানিরীক্ষা চালিয়েছেন ভারতীয় কোচ রাহুল দ্রাবিড়। সেই পরীক্ষার ফল যে খুব একটা ভাল আসেনি তা বলাই বাহুল্য। তিনি নিজেও তাই দ্বিতীয় ম্যাচ শেষে জানালেন, তরুণদের নিয়ে পরীক্ষা করার সুযোগটা ফুরিয়ে এসেছে। 

‘এটা আমাদের নতুন কিছু ক্রিকেটার দেখার শেষ সুযোগ ছিল। আমাদের কিছু খেলোয়াড় আছে, যারা চোটে পড়ে ন্যাশনাল একাডেমিতে পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় আছে। এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের কয়েক মাস আগে আমাদের সময়টা কিছুটা ফুরিয়ে আসছে। আশা করছি, চোটে পড়া কয়েকজন এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের আগে ফিট হবে। তবে আমরা ঝুঁকি নিতে পারি না, অন্য ক্রিকেটারদের দেখতে হবে।’

কোচ দ্রাবিড় কারও নাম উল্লেখ না করলেও কথাগুলো যে সূর্যকুমার কিংবা স্যাঞ্জু স্যামসনের উদ্দেশে বলা তা সহজেই অনুমেয়। সূর্যকুমার টি-২০ ফরম্যাটে বিশ্বসেরা ব্যাটার। কিন্তু ওয়ানডে ফরম্যাট এলেই কেন যেন চেনা দায় তাকে। 

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হোম সিরিজে টানা তিন ডাক আর তারপরেই ওয়েস্ট ইন্ডিজে ১৯ আর ২৫ রানের দুটি ইনিংস। ভারতের হয়ে ওয়ানডে ফরম্যাটে সময়টা ভাল যায়নি তার। তবে, তারচেয়ে নাজুক অবস্থা স্যাঞ্জু স্যামসনের। 

আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসের অধিনায়ক হলেও ভারতের নীলে একটু বেশিই বিবর্ণ এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। গতকালও এর ব্যাতিক্রম হয়নি। ১৯ বলে ৯ রান করে ভারতের বিপদ বাড়িয়েছেন তিনি। 

ম্যাচ শেষে কোচ দ্রাবিড়ের কণ্ঠেও তাই ঝরলো হতাশা, ‘এটা আমাদের কিছু খেলোয়াড়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। আমাদের মনে হয়েছিল, এশিয়া কাপের আগে এরকম একটা সিরিজে ভিরাট আর রোহিতকে খেলানো হলে অনেক প্রশ্নেরই উত্তর পাওয়া যাবে না। তবে এনসিএ-তে যারা পুনর্বাসনে আছে আর তাদের ঘিরে অনিশ্চয়তার মধ্যে আমরা আরও কিছু খেলোয়াড়কে সুযোগ দিতে চেয়েছি, যেন দরকারের সময় তারা নিজেদের সেরাটা দিতে পারে।’ 

জেএ