অস্ত্রোপচার নয়, ইনজেকশন নিয়েছেন তামিম
অনেকদিন ধরেই পিঠের ব্যথায় ভুগছিলেন তামিম ইকবাল। কয়েক মাস ধরে সেটার চিকিৎসা চললেও পুরোপুরি সেরে ওঠছে না। তাই স্থায়ী সমাধান পেতে আস্ত্রোপচার করার কথা ভাবছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। তবে আপাতত সেই পথে হাঁটছেন না তিনি। দেশের একটি সংবাদমাধ্যম বিসিবির সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, দ্রুত সময়ে মাঠে ফিরতে ইনজেকশন নিয়েছেন তামিম।
৩৪ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া দুই ডিস্ক ঘিরে তিন থেকে চারটি ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে। ইনজেকশনগুলো দেওয়া হয়েছে অস্ত্রোপচারের টেবিলে। বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরি সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
এই ইনজেকশন সাধারণত স্নায়ুকে নিস্তেজ করে রাখে একটি নির্দিষ্ট সময়। তবে সেই সময়টা কতদিন, সেটির নিশ্চয়তা দিতে পারেন না চিকিৎসকরাও। কারও ক্ষেত্রে ইনজেকশনের কার্যকারিতা ২-৩ মাস থেকে শুরু করে ৪-৫ মাস পর্যন্ত থাকে। অনেকের ক্ষেত্রে আবার এক মাসের মধ্যেও ব্যথা ফিরে আসে। আগের দফায় এই ইনজেকশন নিয়ে তামিম তিন মাসের মতো সময় মোটামুটি নির্বিঘ্নে খেলতে পেরেছিলেন।
ইনজেকশন ঠিকঠাক কাজ করতে শুরু করলে ৭ থেকে ১০ দিন বিশ্রামে থাকতে হবে তামিমকে। এরপর আস্তে আস্তে তিনি ফিটনেস ট্রেনিংসহ অনুশীলন শুরু করতে পারবেন। তবে আসল চ্যালেঞ্জ হবে অনুশীলন শুরুর পরই। তখন যদি আবার ব্যথা ফিরে আসে, তাহলে আরেক ধাপে ইনজেকশন নিতে হবে। তাতেও কাজ না হলে শেষ উপায় অস্ত্রোপচার।
এই ব্যথা তামিমকে ভোগাচ্ছে গত নভেম্বর থেকে। ভারতের বিপক্ষে সিরিজের আগে প্রস্তুতি ম্যাচে সেঞ্চুরি করার পর ড্রেসিং রুমে গিয়ে তিনি অনুভব করেন এটির অস্তিত্ব। ওই সিরিজে কোনো ম্যাচেই মাঠে নামতে পারেননি অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান।
এসএইচ/এইচজেএস