তামিম ইকবাল ইস্যুতে আলোচনা যেন থামছেই না। বর্তমানে চিকিৎসার কারণে যুক্তরাজ্যে আছেন তিনি। জানা গেছে, তামিমের চোটের অবস্থা তেমন সুখকর নয়। এমন পরিস্থিতিতে বড় প্রশ্ন, তামিম না থাকলে এশিয়া কাপ এবং ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক হবেন কে!

কোমরের চোটে বেশ অস্বস্তিতে রয়েছেন বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের নিয়মিত এই অধিনায়ক। এই মুহূর্তে লন্ডনে চিকিৎসা করাতে ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়েছেন তিনি। ধারণা করা হচ্ছে, প্রয়োজনে ডাক্তারের ছুরির নিচেও যেতে হতে পারে তামিম ইকবালকে। 

সেক্ষেত্রে তামিম যদি ছিটকে যান, তখন সাকিব আল হাসানকেই  নতুন অধিনায়ক হিসেবে দেখছেন বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট। আজ বৃহস্পতিবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের উদাহরণ টেনে মিরপুর ইনডোর স্টেডিয়ামে গণমাধ্যমকে খালেদ মাসুদ এমনটি বলছিলেন।

আরও পড়ুন: বিশ্বকাপে অনিশ্চিত তামিম! 

এ সময় পাইলট বলেন, ‘তামিম যদি চোটের কারণে নেতৃত্ব না দিতে পারে, তাহলে আমার কাছে মনে হয় সর্বোচ্চ ৯০ ভাগ মানুষই বলবে সাকিব আল হাসান (অধিনায়কত্ব করুক)। আমরা কয়েক দিন আগে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দেখলাম, যে সিরিজটা আমরা আশা করছিলাম না যে–ফিফটি-ফিফটিও খেলা হবে, টি-টোয়েন্টিতে সেখানে তার নেতৃত্ব দুটো ম্যাচেই বাংলাদেশ দেখিয়েছে (জয় পেয়েছে)।’

খালেদ মাসুদ মনে করেন খেলোয়াড়রা সাকিবের নেতৃত্ব পছন্দ করে, ‘তার (সাকিবের) নেতৃত্ব এবং তাকে সবাই পছন্দ করে ড্রেসিংরুমে, এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আমি কাউকেই ছোট করব না, তাদের অনেক সময় আছে। কিন্তু সাকিব যে একটা ব্র্যান্ড, সে যখন আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলবে, ড্রেসিংরুমে থাকবে (একটা প্রভাব থাকবে), নেতৃত্ব খুবই গুরুত্বপূর্ণ…। সাকিব এই জায়গাটা তৈরি করেছে। কোনো সন্দেহ নেই, তামিম যদি কোনো কারণে মিস করে তাহলে সাকিবকে (অধিনায়ক হিসেবে) চিন্তা করা উচিত।’

বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী, ওয়ানডে অধিনায়ক তামিমের হাতে বিকল্প আছে দুটি। কোন কারণে যদি অস্ত্রোপচার করানো হয়, তবে অন্তত তিন মাসের জন্য মাঠের বাইরে থাকতে হবে তাকে। আর যদি ইনজেকশনের মাধ্যমে ব্যাথামুক্ত করা হয়, সেক্ষেত্রেও অন্তত তিনমাস খেলা চালিয়ে যেতে পারবেন তিনি। সেক্ষেত্রে এশিয়া কাপ এবং বিশ্বকাপে দেখাও যেতে পারে দেশসেরা এই ওপেনারকে। 

এসএইচ/জেএ