ছবি: সংগৃহীত

সিরিজ হার এড়াতে হলে জয়ের কোনো বিকল্প নেই শ্রীলঙ্কার। এমন ম্যাচের শুরুটা ভালো করতে পারেনি দলটি। পাকিস্তানি লেগস্পিনার আবরার আহমেদের ঘূর্ণির সঙ্গে নাসিম শাহর তোপে প্রথম দিনেই চাপে পড়েছে দলটি।

কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব গ্রাউন্ডে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ১৬৬ রানে গুটিয়ে গেছে শ্রীলঙ্কা। আর নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ২ উইকেটে ১৪৫ রান করেছে পাকিস্তান।

এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামে লঙ্কানরা। কিন্তু শুরুতেই নিশান মাদুশকা রানআউটের ফাঁদে পড়লে ৯ রানেই ভাঙে তাদের ওপেনিং জুটি। এরপর নাসিম শাহর তোপে পড়ে দলটি। ফলে দলীয় ৩৬ রানেই চার উইকেট হারিয়ে বসে তারা। কুশল মেন্ডিসকে ফিরিয়ে শুরুটা করেন শাহিন শাহ। এরপর দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ ও অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নেকে ফেরান নাসিম। তাতেই বড় চাপে পড়ে স্বাগতিকরা।

তবে পঞ্চম উইকেটে দিনেশ চান্দিমালকে নিয়ে ইনিংস মেরামতের কাজে নামেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। গড়েন ৮৫ রানের জুটি। চান্দিমালকে ফিরিয়ে এ জুটি ভাঙেন নাসিম। এরপর লেজ ছাঁটাইয়ের কাজটা দারুণভাবে করেন আবরার। ফলে ১৬৬ রানেই গুটিয়ে যায় লঙ্কানরা।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৭ রানের ইনিংস খেলেন ধনাঞ্জয়া। ৬৮ বলে ৯টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে এ রান করেন তিনি। চান্দিমালের ব্যাট থেকে আসে ৩৪ রান। এছাড়া রমেশ মেন্ডিস করেন ২৭ রান।

পাকিস্তানের পক্ষে ৬৯ রানের খরচায় ৪টি উইকেট পান আবরার। ৪১ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট পান নাসিম।

নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি পাকিস্তানেরও। ব্যক্তিগত ৬ রানে আসিথা ফার্নান্ডোর শিকার হন ওপেনার ইমাম-উল-হক। এরপর শান মাসুদকে নিয়ে দলের হাল ধরেন আবদুল্লাহ শফিক। ১০৮ রানের জুটি গড়ে এ দুই ব্যাটার। মাসুদকেও ফেরান ফার্নান্ডো।

এরপর বাবর আজমকে নিয়ে দিনের শেষ ভাগটা নিরাপদেই কাটিয়ে দেন শফিক। ৭৪ রান করে অপরাজিত রয়েছেন শফিক। ৯৯ বলে ৭টি চার ও ২টি ছক্কায় এ রান করেছেন তিনি। তার সঙ্গে ৮ রান নিয়ে উইকেটে আছেন অধিনায়ক বাবর। ৪৭ বলে ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় মাসুদের ব্যাট থেকে এসেছে ৫১ রান।

শ্রীলঙ্কার পক্ষে ৪১ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট পান ফার্নান্ডো।

এইচজেএস