অ্যাশেজ সিরিজ
তামিমের রেকর্ড ভাঙলেন ক্রাউলি, ইংল্যান্ডের লিড
অস্ট্রেলিয়ার করা ৩১৭ রানের জবাবে শুরু থেকেই ‘বাজবল’ ঘরানার ক্রিকেট খেলছে ইংল্যান্ড। যেখানে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ওপেনার জ্যাক ক্রাউলি। সাদা পোশাকেও তিনি একশ স্ট্রাইকরেটের ওপরে ব্যাট করেছেন। যার ফলে মাত্র ৯৩ বলেই নিজের চতুর্থ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এই ডান-হাতি ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত তার এই ঝড়ো ব্যাটিং থেমেছে ১৮৯ রানে। যার ওপর ভর করে অজিদের রান টপকে ইংলিশরা প্রথম ইনিংসে লিড বাড়াচ্ছে।
ওল্ড ট্রাফোর্ডে খেলতে নেমে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে রেকর্ড গড়েছেন ক্রাউলি। মর্যাদাপূর্ণ ভেন্যুটিতে তিনি দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরির কীর্তি গড়েছেন। তার আগে ১৯৮১ অ্যাশেজে মাত্র ৮৬ বলে ম্যাজিক ফিগারের দেখা পেয়েছিলেন ইংলিশ কিংবদন্তি স্যার ইয়ান বোথাম। যা ওল্ড ট্রাফোর্ডে টেস্ট ইতিহাসে দ্রুততম সেঞ্চুরি। বোথামের কীর্তি টপকাতে না পারলেও, টাইগার ওপেনার তামিম ইকবাল এবং অস্ট্রেলিয়ান ভিক্টর ট্রাম্পারকে ছাড়িয়ে গেছেন ক্রাউলি।
বিজ্ঞাপন
ক্রাউলির এমন তাণ্ডবের আগে ইংল্যান্ড ইনিংসের শুরুতেই বেন ডাকেটকে হারিয়ে তারা বড় ধাক্কা খায়। তবে শুরুর এই ধাক্কা বিচলিত করতে পারেনি ক্রাউলিকে। মিচেল স্টার্ক ও প্যাট কামিন্সদের ওপর চড়াও হয়ে খেলতে থাকেন ইংলিশ এই ব্যাটার। একের পর এক বাউন্ডারিতে তিনি অস্ট্রেলিয়ান বোলারদের নাভিশ্বাস তোলেন। মঈন আলীকে সঙ্গে নিয়ে ১২১ রানের জুটি বাধেন ২৫ বছর বয়সী এই ওপেনার।
পরবর্তীতে স্টার্কের বলে ৫৪ রানে ফেরেন মঈন। ওয়ানডাউনে খেলতে নামার যে আগ্রহ এই অলরাউন্ডার দেখিয়েছিলেন, সেটি তিনি কাজে লাগিয়েছেন ভালোভাবেই। এরপরক্রাউলির সঙ্গী হন জো রুট। তাদের জুটিতে আসে ১০৬ রান। বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে নিজের ডাবল সেঞ্চুরির সুযোগ হাতছাড়া করেছেন ক্রাউলি। ক্যামেরন গ্রিনের বলে বোল্ড হওয়ার আগে তিনি ১৮৯ রান করেন। ১৮২ বলের ইনিংসটিতে তিনি হাঁকিয়েছেন ২১টি চার এবং ৩টি ছক্কা।
এরপর অল্প সময়ের ব্যবধানে ফিরেছেন অভিজ্ঞ রুটও। তার আগে ৯৫ বলে ৮টি চার ও এক ছক্কায় তিনি ৮৪ রান করেছেন। রুটকে বোল্ড করেছেন এই ম্যাচ দিয়ে চোট থেকে ফেরা জশ হ্যাজলউড। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৪ উইকেটে ইংলিশদের সংগ্রহ ৩৭২ রান। প্রথম ইনিংসে তাদের লিড দাঁড়িয়েছে ৫৫ রানে।
এএইচএস