প্রথম দুই ম্যাচ হারায় পরবর্তী লড়াইয়ে জয়ের কোনো বিকল্প নেই ইংল্যান্ডের সামনে। অ্যাশেজের তৃতীয় ম্যাচ জিতে তারা সেই দৌড় টিকিয়ে রেখেছে। চতুর্থ টেস্টের প্রথম ইনিংসে আগে ব্যাট করা অস্ট্রেলিয়াকে তারা ৩১৭ রানেই গুটিয়ে দিয়েছে। এক্ষেত্রে বড় অবদান পেস অলরাউন্ডার ক্রিস ওকসের। সাদা পোশাকের ক্যারিয়ারে ৬ষ্ঠ বারের মতো তিনি পাঁচ উইকেট নিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ ৫১ রান করেছেন মার্নাস লাবুশেন এবং আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান মিচেল মার্শ।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই এক উইকেট হারিয়েছে ইংলিশরা। তৃতীয় ওভারেই মিচেল স্টার্কের বলে অ্যালেক্স ক্যারির হাতে ধরা পড়েছেন ওপেনার বেন ডাকেট। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১ উইকেটে ইংলিশদের সংগ্রহ ৩৮ রান।

এর আগে তৃতীয় টেস্ট থেকে ইংলিশ পেসাররা তোপ দাগতে শুরু করেছেন। সেই দাপট তারা ম্যানচেস্টার টেস্টেও টেনে নিয়ে আসেন। তবে বুধবার (১৯ জুলাই) শুরুটা খারাপ ছিল না সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার। প্রথম ২ ঘণ্টায় প্যাট কামিন্সের দল ওভারপ্রতি ৪.২৮ গড়ে রান তোলে। তবে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি ডেভিড ওয়ার্নার ও স্টিথ স্মিথরা।

ইনিংসের শুরুতেই ইংলিশদের সাফল্য এনে দিয়েছিলেন স্টুয়ার্ট ব্রড। ফর্মে থাকা ওপেনার উসমান খাজাকে তিনি মাত্র ৩ রানে ফেরান। তবে ফর্মহীন ওয়ার্নার শুরু থেকেই ছিলেন আগ্রাসী মেজাজে। ম্যাচের প্রথম বলেই ব্রডকে চার মেরে শুরু করেন তিনি। পরবর্তীতে ৩২ রান করে এই বাঁ-হাতি ওপেনার ক্রিস ওকসের বলে ফেরেন। এরপর স্মিথের সঙ্গে ৫৯ রানের জুটি বাধেন লাবুশেন। পরবর্তীতে মঈন আলীর বলে এলবিডব্লিউ হয়ে জুটি ভাঙে লাবুশেনের বিদায়ে। এর আগে তিনি টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৬তম অর্ধশতক (৫১) তুলে নেন।

অস্ট্রেলিয়ার মিডল অর্ডারের সব ব্যাটারই ম্যাচটিতে থিতু হয়েও আউট হয়ে যান। নইলে তাদের দলীয় সংগ্রহ আরও বড় হতে পারতো। স্মিথ ও ট্র্যাভিস হেড ভাল শুরু করেও আউট হয়ে যান। দলকে তেমন নির্ভরতা দিতে পারেননি তারা। ওয়ানডে মেজাজে খেলা স্মিথের ব্যাটে আসে ৪১ রান (৫২ বল)। মার্ক উডের লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে ফেরেন তিনি। অর্ধশতক থেকে দুই রানের দূরত্বে ফিরেছেন হেডও। তাকে ফিরিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে ৬০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন ব্রড। এরপর মিচেল মার্শও আউট হয়ে যান ৫১ রানে করে। তিনি ওকসের শিকার।

এই ম্যাচ দিয়ে দলে ফেরা ক্যামেরন গ্রিন ব্যর্থ হয়েছেন। ওকসের বলেই মাত্র ১৬ রান করে আউট হন তিনি। ওকসের শিকারের তালিকায় আছেন অস্ট্রেলিয়ার উইকেটরক্ষক-ব্যাটার অ্যালেক্স ক্যারিও (২০)। প্রথম দিন শেষে ৮ উইকেটে ২৯৯ রান করা অজিদের ইনিংস পরদিন সকালের শুরুতেই শেষ হয়ে যায়। আগেরদিনের রানের সঙ্গে আর ১৮ রান যোগ করেন মিচেল স্টার্করা। ৯৩ বল মোকাবিলায় তিনি ৩৬ রান করেন।

ইংল্যান্ডের হয়ে ওকসের পাঁচ শিকার ছাড়াও দুই উইকেট নিয়েছেন ব্রড। এছাড়া জেমস অ্যান্ডারসন, মঈন ও উড একটি করে উইকেট নেন।

এএইচএস