সাত নম্বরের আলোচনায় সৌম্যর সঙ্গে মেহেদীও!
আসন্ন এশিয়া কাপ এবং ওয়ানডে বিশ্বকাপের সূচি দিনক্ষণ সবই চূড়ান্ত। বাকি কেবল বাইশগজের ধুন্ধুমার লড়াই শুরুর। তবে তার আগে বাংলাদেশ ক্রিকেটে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে দলের সাত নম্বর পজিশনে কে থাকছেন। টিম ম্যানেজমেন্টের চিন্তা-ভাবনায় এই পজিশনের জন্য আফিফ হোসেন-মাহমুদউল্লাহ রিয়াদসহ কয়েকজন ক্রিকেটার ছিলেন।
তবে শ্রীলঙ্কার মাটিতে ইমার্জিং এশিয়া কাপে ব্যাট-বলে ভালো পারফর্ম করায় নতুন করে টিম ম্যানেজমেন্টের চিন্তায় রয়েছেন সৌম্য সরকার এবং শেখ মেহেদী হাসান। অবশ্য প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে সৌম্যকে দেখার জন্যই লঙ্কায় পাঠিয়েছেন খেলতে। আর সেখানে গ্রুপ পর্বের খেলায় শ্রীলঙ্কা, ওমান, আফগানিস্তানের বিপক্ষে বোলিং করেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক লঙ্কানদের বিপক্ষে পাঁচ ওভারে ৫২ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করেছিলেন সৌম্য। এরপর ৯১.৩০ স্ট্রাইকরেটে ৪৬ বলে ৪২ রান ছিল প্রথম ম্যাচে। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচে ওমানের বিপক্ষে দুই ওভার বল করলেও ব্যাটিং পাননি এই বাঁহাতি ক্রিকেটার। পরবর্তীতে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তান ‘এ’ দলের বিপক্ষে সৌম্যর অলরাউন্ড পারফর্ম চোখে পড়েছে।
সেদিন ১১৪.২৮ স্ট্রাইকরেটে ৪২ বলে ৪৮ রান করেন তিনি। একইসঙ্গে ১০ ওভার বল করে ৬১ রান দিয়ে ২ উইকেট শিকার করেন। ‘এ’ দলের ম্যানেজার হিসেবে শ্রীলঙ্কায় থাকা নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন বলেন, ‘সৌম্য পারফর্ম করায় বিকল্প বাড়ল। জাতীয় দলের লাইনআপটা বড় হলো। আসলে সৌম্য বিসিবির রাডারেই ছিল।’
এদিন আলোচনায় থাকা শেখ মেহেদীও প্রতি ম্যাচেই নিজেকে প্রমাণ করছেন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৪৮ রানে ১ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ব্যাট হাতে ৩০ বলে ৩১ রান করেন। পরে ওমানের বিপক্ষে ১০ ওভার বল করলেও ২৯ রান খরচায় কোনো উইকেট সংগ্রহ করতে পারেননি। সর্বশেষ আফগানিস্তানের বিপক্ষেও মেহেদী ছিলেন দুর্দান্ত। এদিন ১০ ওভার ৩৩ রানে দিয়ে উইকেটশূন্য থাকলেও ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন। ১৯ বল খেলে ৩৬ রানে অপরাজিত ছিলেন মেহেদী।
সেদিন ম্যাচ শেষে শ্রীলঙ্কায় গণমাধ্যমের সামনে মেহেদী বলেন, ‘সিলেকশন আমার হাতে নাই। আমার হাতে যেটা আছে সেটা হলো প্রসেস আর আমার পারফরম্যান্স। আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি। বাদ-বাকি উনাদের ইচ্ছা। বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপ মাথায় নিয়ে কাজ করছি না। এখন খেলছি ইমার্জিং। তাই মাথার ভেতরও এটাই। আজকের ম্যাচটা অনেক চাপের ছিল, ডু অর ডাই। সেমি-ফাইনাল খেলতে হলে জিততেই হবে- মনের ভেতর এটাই কাজ করছিল। ঠাণ্ডা এবং শান্ত থেকে যেভাবে খেলা যায়।’
তবে মাঠে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং মেহেদী বলা শান্ত স্বভাবের সঙ্গে মিলে না। যদিও এতে বাংলাদেশ দলেরই উপকার হয়েছে। দলের ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে এই অলরাউন্ডার বলেন, ‘নম্বর সেভেনটা ম্যাটার করে না। একজন ক্রিকেটার হিসেবে আমার যেকোনো পজিশনে খেলার ইচ্ছাশক্তি থাকতে হবে। আমি নিজেকে ওইভাবে প্রস্তুত করছি।’
মেহেদী আরও বলেন, ‘দেখেন নম্বর সেভেন খুবই ক্রিটিক্যাল পজিশন। সেটা যেকোনো দলের জন্যই হোক না কেন। এখানে সবচেয়ে সেরা ব্যাটারগুলোই থাকে। আমি জানিনা কী করতে পারব। আমি নম্বর সেভেনে খেলছি না, নম্বর এইটে খেলছি। একজন বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে আমার ব্যাটিং উন্নতি করার চেষ্টা করছি।’
এসএইচ/এফআই