ফাইল ছবি

বিশ্বের প্রায় সব ফ্যাঞ্চাইজি লিগেই ক্যারিবিয়ানদের বেশ কদর। কারণটা খুবই স্পষ্ট-তাদের পাওয়ার হিটিং সামর্থ্য। অথচ গত দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেই ক্যারিবিয়ানরাই নূন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বীতাও করতে পারেনি। এমনকি আসন্ন ওয়ানডে বিশ্বকাপেও মূল পর্বেই ওঠতে পারেনি দুইবারের বিশ্বকাপজয়ীরা। দলের এমন বাজে অবস্থার বড় একটা কারণ দেশিটির ক্রিকেটাররা জাতীয় দলের থেকে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগকে বেশি প্রধান্য দেয়। এই তালিয়াকয় আছেন সুনীল নারিন, আন্দ্র রাসেলদের মতো তারকারা। তবে এবার সিদ্ধান্ত বদলাতে যাচ্ছেন রাসেল।

সর্বশেষ ২০২১ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে মাঠে নেমেছিলেন এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার। সেবার সরাসরি সুপার টুয়েলভে খেললেও মাত্র একটি ম্যাচ জেতার পর সেমিফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হয়েছিল তারা। ২০২২ সালের বিশ্বকাপে রাসেল ছিলেন না, ওয়েস্ট ইন্ডিজ তো প্রথম পর্বই পেরোতে পারেনি। আর সম্প্রতি ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব থেকেও বাদ পড়েছে দলটি। তাতে ইতিহাসে প্রথমবার ক্যারিবিয়ানরা বিশ্বকাপে শুধুই দর্শকের ভূমিকায়। জাতীয় দলের এমন বাজে সময় হয়তোবা দাগ কেটেছে রাসেলের মনে।

তবে জাতীয় দলে খেলতে গেলে ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক লিগগুলোতে খেলা থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হতে পারে, রাসেল জানেন সেটিও, ‘আমি জানি কীভাবে কী হয়। আমি জানি, ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে খেলতে হয়তো কয়েকটি লিগের প্রস্তাব ফেরাতে হবে। আমি সেটি করতে ইচ্ছুক। বিশ্বকাপে খেলতে নিজের সেরা সুযোগটি নিতে চাই। যেখানেই অবদান রাখার সুযোগ আসুক না কেন, আমি করতে রাজি।’

পরের বিশ্বকাপে খেলার আগ্রহের কথা জানিয়ে জ্যামাইকা অবজারভারকে রাসেল বলেছেন, ‘আমি আছি (খেলার জন্য প্রস্তুত)। পরের বিশ্বকাপের অংশ হতে চাই। ফলে দলে নেওয়া হলে আমার জন্য বিশেষ কিছু হবে এটি।’ 

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন চালু হওয়া মেজর লিগ ক্রিকেটের প্রথম আসরে লস অ্যাঞ্জেলেস নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলছেন রাসেল। এ মুহূর্তে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে আছে ভারত, সামনে তাদের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি সিরিজ। রাসেল ফিরতে চান সেটিতেই। তিনি জানেন, চাইলেই হুট করে বিশ্বকাপের দলে ঢোকাটা কঠিন, ‘নিজেকে তৈরি রাখতে কয়েকটি সিরিজ খেলতে চাই। একদম হুট করে গিয়ে তো বলতে পারি না যে আমি বিশ্বকাপে খেলতে চাই।’ 

এইচজেএস