আইপিএলের সর্বশেষ আসরে নিজের ব্যাটিং সামর্থ্য ভালোভাবেই বুঝিয়েছেন যশস্বী জয়সওয়াল। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান-সংগ্রাহকদের দৌড়ে তিনি সামনের সারিতেই ছিলেন। যার ফলস্বরূপ জাতীয় দলে তার সুযোগ পাওয়া ছিল স্বাভাবিক। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে চলমান টেস্ট সিরিজে জয়সওয়ালের অভিষেক হয়েছে। সেখানে অভিষেক ম্যাচেই ১৭১ রান করেছেন তিনি। পরবর্তীতে তাকে ভারতের এশিয়ান গেইমসের দলেও অন্তর্ভূক্ত করা হয়। তবে তাকে বিশ্বকাপ দলে দেখতে চান সৌরভ গাঙ্গুলি।

আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরুর ম্যাচের পারফরম্যান্সের পর ভারতীয় ব্যাটিং কোচ বিক্রম রাঠোর বলেছিলেন, অন্তত আগামী ১০ বছর ভারতের হয়ে টানা জয়সওয়ালকে খেলতে দেখতে চাই। সে কতটা বৈচিত্রময় ব্যাটার, সেটা চোখের সামনে দেখেছি। কী অসাধারণ সব স্ট্রোক খেলতে পারে। দলের প্রয়োজন অনুযায়ী শট খেলার ক্ষমতা রয়েছে ওর।

আরও পড়ুন >> বিশ্বকাপের আগে দুইবার মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান

কেবল দলের কোচই নন, সাবেক অনেক তারকার মুখেই জয়সওয়ালকে নিয়ে স্তুতি ঝরেছে। স্বাভাবিকভাবেই তাকে বিশ্বকাপ দলেও দেখতে চান তাদের অনেকেই। গতকাল (সোমবার) এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েও ভারতীয় ক্রিকেটের ‘মহারাজ’ সৌরভ গাঙ্গুলিও তেমনই ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন। তিনি বলছেন, ‘যশস্বী অসাধারণ ভঙ্গিতে শুরু করেছে। বিশ্বকাপের দলে ওকে অবশ্যই রাখা উচিত।’

গাঙ্গুলিও নিজের টেস্ট অভিষেকে সেঞ্চুরি করেছিলেন। অনেক বছর পর তার স্মৃতিই যেন মনে করালেন তরুণ জয়সওয়াল। তবে এশিয়ান গেইমসের ফাইনালের দিন ওয়ানডে বিশ্বকাপে ম্যাচ রয়েছে ভারতের। এশিয়ান গেইমসে থাকায় স্বাভাবিকভাবে তখন জয়সওয়াল বিশ্বকাপে থাকছেন না। তাই বিশ্বকাপে তাকে রাখায় জোর দিচ্ছেন সাবেক বিসিসিআই সভাপতি গাঙ্গুলি, ‘ডান-হাতি ও বাঁ-হাতি ব্যাটারের জুটি বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি সে দলে নিজের জায়গা পাকা করে ফেলবে। যেকোনো সেঞ্চুরিই তাৎপর্যপূর্ণ। প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরি করার অনুভূতিও অন্যরকম। সে কারণে আমার চাওয়া এভাবেই যশস্বী এগিয়ে চলুক।’

আরও পড়ুন >> ভারত বিশ্বকাপের পূর্ণাঙ্গ সূচি প্রকাশ

আগামী ৫ অক্টোবর ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ডের ম্যাচ দিয়ে ভারত বিশ্বকাপের পর্দা উঠবে। তবে স্বাগতিকদের লড়াই শুরু হবে ৮ অক্টোবর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। প্রথম রাউন্ডে বহুল প্রত্যাশিত ভারত-পাকিস্তান ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ১৫ অক্টোবর আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে। যদিও এই ভেন্যুটি নিয়ে আপত্তি তুলেছিল পাকিস্তান। তবে দুই পক্ষের সমঝোতায় লাখের বেশি ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন মাঠটিতেই শেষ পর্যন্ত হচ্ছে হাই-ভোল্টেজ ম্যাচটি। 

এএইচএস