ইংল্যান্ড ক্রিকেটে এর আগেও মুসলিম খেলোয়াড় ছিলেন, কেউ কেউ খেলেছেন সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ভনের সঙ্গেও। কিন্তু ক্রিকেট মাঠ ছেড়ে ভন যখন ধারাভাষ্যের মাইক হাত নিলেন, তখন তার ধারণা বদলে গেল! মুসলিমদের নিয়ে ২০০৯ সালে বিরূপ মন্তব্যের কারণে তিনি অভিযুক্তও হয়েছিলেন। ওই ঘটনায় ৬ ক্রিকেটার-কর্মকর্তার শাস্তি হলেও অবশ্য অব্যাহতি পান ভন। তবে সেই ঘটনায় এবার মুখ খুললেন ইংল্যান্ড অলরাউন্ডার মঈন আলী।

সম্প্রতি সাদা পোশাকে অবসর ভেঙে দলে ফেরা মঈনের মত, ভনকে আরেকটু স্মার্টও হতে হবে। তবে সাবেক এই ইংলিশ অধিনায়কের ধারণা বদলাচ্ছে বলেও মনে করছেন মঈন। সম্প্রতি তিনি যুক্তরাজ্যের চ্যানেল ফোরে প্রচার হতে যাওয়া নতুন তথ্যচিত্র ‘ইজ ক্রিকেট রেসিস্ট?’ (ক্রিকেট কি বর্ণবাদী)–এ কথা বলেছেন। সেখানেই ওঠে এসেছে দেশের কাউন্টি ক্রিকেটে ঘটে যাওয়া এক বর্ণবাদী ঘটনার প্রসঙ্গ।

আরও পড়ুন >> খেলার দুদিন আগেই ইংল্যান্ডের একাদশ ঘোষণা

এর আগে অভিযোগ উঠেছিল ২০০৯ সালে ইয়র্কশায়ারের একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আজিম রফিক ও দক্ষিণ আফ্রিকান বংশোদ্ভূত অন্য তিনজনের উদ্দেশে বর্ণবাদমূলক মন্তব্য করেছিলেন ভন। যদিও সেসব অভিযোগ থেকে ভনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ২০১৭ সালে টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব পিয়ার্স মরগানের ডেইলি মেইলে লেখা একটি কলাম শেয়ার করেছিলেন ভন। সে কলামে মরগানের ভাষ্য ছিল, নিজেদের মধ্যে থাকা চরমপন্থীদের উৎপাটন মুসলিম সম্প্রদায়কেই করতে হবে।

ভনের সেই টুইটে তাকে পাল্টা প্রশ্ন করে টিভি উপস্থাপক আদিল রে বলেন, তবে কি মঈন আলী টেস্ট খেলার ফাঁকে ফাঁকে গিয়ে মুসলিমদের জিজ্ঞাসা করবেন তাদের ভেতর কোনো সন্ত্রাসী আছে কিনা? জবাবে ‘হ্যাঁ’ বলে ভন মন্তব্য করেছিলেন, ‘যদি এর মাধ্যমে আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ ও পরিবেশ আরেকটু নিরাপদ হয়।’ সে বিষয়টি এবার মঈনের সামনে আনা হয়। তথ্যচিত্রের কাজের ফাঁকেই ভনকে নিয়ে মন্তব্য করেছেন তিনি।

আরও পড়ুন >> অ্যাশেজে দর্শকদের আচরণে বিরক্ত খাজা

মঈন আলী বলেন, ‘এটা আসলে ছেলেমানুষি ছিল। বোকামো আসলে। তাঁর মতো মানুষের এগিয়ে আসা দরকার এখন। সেটি শুধু মুসলিমদের জন্য নয়, যেকোনো বিশ্বাসের মানুষদের জন্যই। (তাঁদের) আরেকটু স্মার্টও হতে হবে। আমার ধারণা, তিনি এখন বুঝেছেন যে সময় বদলাচ্ছে। এখন তাঁকে বদলাতে হবে।’

একইসঙ্গে ইংল্যান্ডের পেশাদার ক্রিকেটে দক্ষিণ এশীয় খেলোয়াড়ের কম প্রতিনিধিত্ব নিয়ে এই অলরাউন্ডার বলেন, ‌‘অন্য যে কারও চেয়ে ভালো, এমন ব্রিটিশ এশিয়ান খেলোয়াড় আছে। তবে কোনো এক কারণে তাদের দলে নেবে না। বেশিরভাগ সময়ই দক্ষিণ এশীয় খেলোয়াড়দের অসাধারণ কিছু করতে হয়। বিশেষ করে ট্রায়ালে। অথচ একজন শ্বেতাঙ্গ ক্রিকেটার অসাধারণ না হলেও তাকে নেওয়া হবে।’

এএইচএস