প্রথম ম্যাচে শেষ ওভারের নাটকীয়তায় শেষ হাসিটা বাংলাদেশেরই ছিল। তাই সিরিজে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে আজ মাঠে নেমেছে সাকিব আল হাসানের দল। এই ম্যাচ জিততে পারলে শিরোপা নিশ্চিত করবে স্বাগতিকরা। অন্যদিকে সফরকারীরা ঘুরে দাঁড়াতে পারলে অন্তত সিরিজ ড্র করে বাড়ি ফিরতে পারবে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলাদেশ ১৬ ওভার ১ বলে ১১৯/৪ (আফগানিস্তান ১১৬/৭)
বিজ্ঞাপন
৬ উইকেটের জয় বাংলাদেশের
প্রথম ম্যাচে শেষ ওভারে করিম জানাতের হ্যাটট্রিক ছড়িয়েছিল রোমাঞ্চ। এবার আর তেমন কিছু হলো না। ওয়াফাদেরের প্রথম বলেই মিডউইকেট দিয়ে চার মেরেছেন শামীম হোসেন, ৫ বলে বাকি থাকতে ৬ উইকেটের জয় নিশ্চিত হয়েছে তাতেই। এ জয়ে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ। তৃতীয় বার এসে আফগানিস্তানকে প্রথমবার দ্বিপাক্ষিক আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি সিরিজে হারাল বাংলাদেশ।
ফিরলেন হৃদয়ও
ইনিংসের ১৫তম ওভারের ঘটনা। প্রথম বলে ডাবলস। এরপর ফ্লিক করে ছক্কা। হৃদয় অবশ্য থামলেন ওমরজাইয়ের তৃতীয় বলে। ডাউন দ্য গ্রাউণ্ডে এসে মিড অফের ওপর দিয়ে মারতে চাইলেও তাকে পার করাতে পারেননি হৃদয়। ফিরেছেন ১৭ বলে ১৯ রান করে।
ব্যর্থ শান্ত
হঠাৎ চাপে পড়ে গেল বাংলাদেশ। দুই ওভারের মধ্যে ফিরে গেলেন টপ-অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান। আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের ইয়র্কার ধরনের ডেলিভারি ক্রস ব্যাটে খেলতে গিয়ে পায়ে লেগে বোল্ড হলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ৬ বলে ৪ রান করেছেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ১১ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৭৬ রান। শেষ ৬ ওভারে প্রয়োজন ৪৩ রান।
একই ওভারে ফিরলেন আফিফ-লিটন
পাওয়ার প্লের পর কিছুটা হলেও রানের লাগাম টেনে ধরে সফরকারীরা। তাতে চাপ বাড়ে স্বাগতিক ব্যাটারদের ওপর। সেই চাপেই যেন উইকেট দিলেন লিটন। নবম ওভারের প্রথম বলটি অফ স্টাম্পের অনেকতাই বাইরে ফুল লেন্থে করেছিলেন মুজিব। সেখানে জায়গা করে একট্রা কভারে ড্রাইভ করতে গিয়ে কভারে ধরা পড়েন লিটন। সাজঘরে ফেরার আগে এই ওপেনারের ব্যাট থেকে এসেছে ৩৬ বলে ৩৫ রান।
লিটন আউট হওয়ার এক বল পর ফিরেছেন আফিফও। মুজিবকে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। তার আগে ২০ বলে ২৪ রান করেছেন তিনি।
লিটনের ব্যাটে উড়ন্ত শুরু
রান তাড়ায় তৃতীয় বলেই চার মারলেন লিটন দাস। ফজলহক ফারুকির পরের বলে মারলেন আরও একটি। অভিষিক্ত ওয়াফাদার মোমান্দকে তো স্বাগত জানালেন চারের হ্যাটট্রিক দিয়ে। দুই ওভারে লিটনের ৫ চারে উড়ন্ত সূচনা পেয়েছে বাংলাদেশ। ৫ ওভারেই দলীয় অর্ধশতক পূর্ণ করেছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশকে ১১৯ রানের লক্ষ্য দিল আফগানিস্তান
বৃষ্টির পর দ্রুত ৩ উইকেট হারালেও আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও করিম জানাতের জুটি একটা লাফ দেওয়ার চেষ্টা করছিল, সর্বশেষ ম্যাচে যেটি করেছিল নবি ও ওমরজাইয়ের জুটি। তবে শেষ দিকে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। ১৭ ওভারে আফগানিস্তান তুলেছে ১১৬ রান। ডিএল মেথডে বাংলাদেশের লক্ষ্য অবশ্য বদলাবে। এবং সেটি ১৭ ওভারে ১১৯ রান।
সাকিবের জোড়া উইকেট
১১তম ওভার সাকিব শুরু করেছিলেন উইকেট দিয়ে, শেষও করলেন উইকেট দিয়ে। প্রথম বলে সাকিবকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অনে আফিফের হাতে ধরা পড়েন ইব্রাহিম জাদরান। আর শেষ বলে নজিবুল্লাহ জাদরানকে বোল্ড করেছেন সাকিব। অফ স্টাম্পের বাইরের গুড ল্যান্থের বলে কাট করতে গিয়ে স্টাম্প উপড়ে গেছে তার। এভাবে বল স্টাম্পে আঘাত হানবে তা কিছুতেই যেন বিশ্বাস করতে পারছিলেন না এই ব্যাটার। এমনকি আম্পায়ারও। পরে আম্পায়ারের রিভিওতে দেখা যায়, বলের আঘাতেই স্টাম্প ভেঙেছে। তাতে ৬৭ আরনে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে আফগানিস্তান।
নবিকে ফেরালেন মুস্তাফিজ
নবম ওভারে বৃষ্টির পর প্রথমবার বোলিংয়ে আসেন নাসুম। তার এই ওভারে দুইবার জীবন পান নবি। চতুর্থ বলে কভারে ক্যাচ ফেলেছেন সাকিব। পরের বলেই আবারও এই ব্যাটারকে পরাস্ত করেন নাসুম। নবির ব্যাটের কানা ছুঁয়ে বল উইকেটের পেছনে গেলেও তা গ্লাভসে জমাতে ব্যর্থ হন লিটন। টানা দুই বলে দুই জীবন পেয়েও বেশিদূর এগোতে পারলেন না এই অলরাউন্ডার। পরের ওভারে মুস্তাফিজের লেগ স্টাম্পের বাইরের শট বলে ব্যাট চালিয়ে টাইমিং করতে পারেননি, এজ হয়ে উইকেটের পেছনে ধরা পড়েছেন এই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার।
১৭ ওভারের ম্যাচ
দুই দফায় আম্পায়াররা মাঠ পর্যবেক্ষণ করার পর অবশেষে জানা গেল খেলা শুরুর সময়। ১৭ ওভারে নেমে এসেছে ম্যাচের দৈর্ঘ্য। খেলা পুনরায় শুরু হবে ৮-১৫ মিনিটে। দুইজন বোলার সর্বোচ্চ ৪ ওভার করে বোলিং করতে পারবেন।
উইকেটে বসেছে স্টাম্প, কাটা যাবে ওভার
বৃষ্টি থামার পর মাঠ তৈরীর কাজ চলছে। উইকেটে স্টাম্পও বসানো হয়েছে। বাংলাদেশের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে, পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড এই মুহূর্তে উইকেটে দেখতে মাঠে এসেছেন। সন্ধ্যা ৭-৪৫ মিনিটে আবার মাঠ পর্যবেক্ষণে নামবেন আম্পায়াররা। ফলে এক ঘণ্টারও বেশি সময় খেলা বন্ধ থাকছে। নিশ্চিতভাবেই কাটা যাওয়ার কথা ওভার।
থেমেছে বৃষ্টি, সরানো হচ্ছে কাভার
মিনিট বিশেক পর থেমেছে বৃষ্টি। মাঠ থেকে কাভার সরানোর কাজ চলছে। তবে এখনই খেলা শুরু করা সম্ভব নয়। খেলার জন্য মাঠ প্রস্তুত করতে আরও অন্তত ঘন্টা খানেক সময় লাগবে। যদিও খেলা শুরুর সময়ের ব্যাপারে অফিশিয়ালি এখনো কিছু বলা হয়নি।
বাইশ গজে বৃষ্টির হানা
ইনিংসের শুরুতেই আফগানদের চেপে ধরেছে বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লে শেষ হলেও চাপের বৃত্ত ভাঙতে পারেনি সফরকারী ব্যাটাররা। তাদের এমন চাপে রেখে যখন ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বাংলাদেশ, ঠিক তখনই বৃষ্টির হানা।
দুই ওভারে দুই ওপেনারকে ফেরালেন তাসকিন
প্রথম ওভারে তাসকিনকে তেড়ে-ফুরে খেলতে গিয়ে উইকেট বিলিয়ে এসেছিলেন গুরবাজ। পরের ওভারে আবারও এই পেসারের ওপর চড়াও হলেন আফগান ব্যাটাররা। এবার চার হাঁকিয়ে তাসকিনের ওভার শুরু করেন জাজাই। কিন্তু এই ওপেনারও তাড়া-হুড়া করে নিজের বিপদই ডেকে আনলেন। ওভারের চতুর্থ বলটি অফ স্টাম্পের বাইরে গুডলেংথ থেকে লাফিয়ে ওঠে, হজরতউল্লাহ জাজাই খেলবেন না ছাড়বেন করতে গিয়ে খোঁচা দিলেন। উইকেটের পেছনে বাকি কাজটি করেছেন লিটন দাস। তাতে নিজের টানা দুই ওভারে দুই ওপেনারকে ফেরালেন তাসকিন।
প্রথম ওভারেই আঘাত হানলেন তাসকিন
শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিলেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ। ইনিংসের চতুর্থ বলেই ডাউন দ্য উইকেট এগিয়ে এসে তাসকিনকে ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন এই ওপেনার। পরের বলে শর্ট লেংথ থেকে আবার তুলে মেরেছিলেন গুরবাজ, এবার বল ওঠে খাড়া ওপরে। অফ সাইড থেকে আরও তিন জন ফিল্ডার ছুটে আসতে চাইলেও তাসকিন না করে দিয়েছেন, নিজের বলে নিজেই ধরেছেন ক্যাচ। ৫ বলে ৮ রান করে ফিরলেন গুরবাজ, প্রথম ওভারেই বাংলাদেশকে সাফল্য এনে দিলেন তাসকিন।
গুরবাজকে ফিরিয়ে একটা মাইলফলকও স্পর্শ করেছেন তাসকিন। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে উইকেটের ফিফটি পূর্ণ করেছেন এই পেসার। তার আগে এই মাইলফলক স্পর্শ করেছেন বাংলাদেশের আরও দুই বোলার। এই তালিকায় আছেন সাকিব ও মুস্তাফিজ।
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। সিরিজ জয়ের মিশনে দুই পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামছে স্বাগতিকরা। চোটের কারণে খেলতে পারছেন না রনি তালুকদার। তার পরিবর্তে সুযোগ পেয়েছেন আফিফ হোসেন। আর রোটেশন পদ্ধতির অংশ হিসেবে বিশ্রাম পেয়েছেন শরিফুল ইসলাম। তার বদলি হিসেবে একাদশে ফিরেছেন আরেক পেসার হাসান মাহমুদ।