আরও আগেই এমন কীর্তি গড়তে পারতেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। কিন্তু এর জন্য তাকে অপেক্ষা করতে হয়েছে এক বছর। যে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ইনজুরিতে পড়েছিলেন, সেই দলটির বিপক্ষেই তার টেস্টে প্রত্যাবর্তন হলো। সাদা পোশাকে নেমেই ২৩ বছর বয়সী এই পেসার ১০০তম উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছেন। যার জন্য তার লেগেছে ২৬টি টেস্ট। এর মাধ্যমে তিনি ছুঁয়েছেন স্বদেশি সাবেক কিংবদন্তি অধিনায়ক ইমরান খান এবং পেছনে ফেলেছেন ওয়াসিম আকরামকে।

আজকের (১৬ জুলাই) এই ম্যাচে নামার আগেই মাইলফলক স্পর্শের রোমাঞ্চে ভুগছিলেন শাহিন, ‘বেশ উত্তেজনা (১০০তম উইকেটের জন্য) বোধ করছি। মাত্র ১ উইকেট দূরে ছিলাম, আর নতুন বলটাও নেওয়ার সময় হয়ে আসছিল। নতুন বল কাজে লাগিয়ে আমি মাইলফলকটা ছুঁতে চেয়েছিলাম, কিন্তু তার আগেই আমি চোটে পড়ি।’

দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে গলে মুখোমুখি হয়েছে পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা। টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামা শ্রীলঙ্কা ইতোমধ্যে দুইটি উইকেট হারিয়েছে। দুটি উইকেটই শাহিন আফ্রিদির শিকার। তিনি ওপেনার নিশান মাদুশকা (৪ রান) এবং অভিজ্ঞ কুশল (১২ রান) মেন্ডিসকে ফিরিয়েছেন।

আরও পড়ুন >> প্রথম ওভারে ৪ উইকেট নিয়ে আফ্রিদির বিশ্বরেকর্ড

শাহিন আফ্রিদির আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার খুব বেশি বড় না হলেও, ইতোমধ্যে তিনি বিশ্বসেরা বোলারদের একজন হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। যদিও টেস্টে ১০০ উইকেট পাওয়া হয়তো অনেক বড় কোনো অর্জন নয়, তবে বড় অর্জনের পথে এটি প্রথম ধাপ। এই প্রাথমিক ধাপটা পার হতেই অনেক কাঠখড় পোড়াতে হলো আফ্রিদিকে। পাকিস্তানের হয়ে ১০০ উইকেট নেওয়া ক্রিকেটারদের তালিকায় আফ্রিদি অষ্টম দ্রুততম। পাকিস্তান কিংবদন্তি ইমরান খান ও ওয়াসিম আকরামের চেয়ে দ্রুততম ১০০ উইকেটের মালিক হয়েছেন এই বাঁ-হাতি।

টেস্টে ইমরান খানের ১০০ উইকেট নিতে লেগেছিল ২৬ টেস্ট আর ওয়াসিম আকরামের ৩০ টেস্ট। পাকিস্তানের হয়ে দ্রুততম ১০০ উইকেট নিয়েছেন স্পিনার ইয়াসির শাহ, তার লেগেছিল ১৭ টেস্ট। শাহিন আফ্রিদির আগে পাকিস্তানের হয়ে টেস্টে কমপক্ষে ১০০ উইকেট নিয়েছেন আরও ১৭ জন বোলার, যার মধ্যে পেসারই ১১ জন।

চোটে পড়ার পর আফ্রিদি অবশ্য রঙিন পোশাকে আগেই ফিরেছিলেন। সম্পূর্ণ ফিট না হয়েও সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলেছিলেন তিনি। পরবর্তীতে পাকিস্তান রানার্স-আফ ট্রফি নিয়েই ঘরে ফেরে। এরপর আবারও চোটে পড়েন শাহিন, তবে সেটি সেরে বাকি দুই সংস্করণে ফিরলেও টেস্টে নামা হচ্ছিল না তার।

এএইচএস