প্রথম ইনিংসে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের সামনে অসহায় ছিলো ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং লাইনআপ। বল হাতে রীতিমতো ছড়ি ঘুরিয়েছিলেন স্বাগতিক ব্যাটারদের উপর। ৩৬ বছরের এই স্পিনারের কারণেই ম্যাচ থেকে প্রথম দিনেই ছিটকে গিয়েছিল তারা। আর টেস্টের তৃতীয় দিনে ভারতকে একপেশে এক জয়ই এনে দিলেন অশ্বিন। ১ম ইনিংসে ৫ উইকেটের পর দ্বিতীয় ইনিংসে নিয়েছেন ৭ উইকেট। 

প্রথম ইনিংস যেখানে শেষ করেছেন, সেখান থেকেই যেন দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করলেন ভারতীয় স্পিনার অশ্বিন। প্রথম ইনিংসের মত দ্বিতীয় ইনিংসেও বড় ইনিংস করা হয়নি তেজনারায়ণ চন্দরপলের। আউট হয়েছেন আরেক স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজার বলে। সেখান থেকেই শুরু ধ্বংসযজ্ঞ। এরপরই অধিনায়ক ব্রাথওয়েট আর জার্মেইন ব্ল্যাকউডকেও নিজের শিকার বানান অশ্বিন। 

রেইফার এবং জশুয়া ডি সিলভাকে ফিরিয়েছেন জাদেজা এবং মোহাম্মদ সিরাজ। ৫৮ রানেই উইন্ডিজের ৫ম উইকেটের পতন। মূলত তখনই নির্ধারিত হয়ে যায় ম্যাচের ভাগ্য। 

এরপরেই ডমিনিকায় শুরু হয় অশ্বিনের স্পিনের জাদু। শেষ ৫ উইকেটের সবকটিই তুলে নিয়েছেন তিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ গুটিয়ে যায় ১৩০রানে। ভারত পায় ইনিংস এবং ১৪১ রানের বিশাল বড় জয়। 

ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন অ্যালিক অ্যাথাঞ্জি। তার ২৮ রানের ইনিংস পরাজয়ের ব্যবধানই কমিয়েছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২০ রান এসেছে জেসন হোল্ডারের ব্যাট থেকে। দুই ইনিংস মিলিয়ে উইন্ডিজের হয়ে ফিফটির দেখাও পাননি কেউ। 

বল হাতে ভারতের সেরা ছিলেন অশ্বিন। দ্বিতীয় ইনিংসে ৭১ রানে ৭ উইকেট নিয়েছেন তিনি। আর পুরো ম্যাচে ১৩১ রানের বিনিময়ে ১২ উইকেট শিকার তার। 

তবে, ম্যাচসেরার পুরস্কার পেয়েছেন ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল। অভিষিক্ত এই ক্রিকেটারের ১৭১ রানের সুবাদে বড় সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছিলো ভারত। নিজের প্রথম ম্যাচেই দারুণ ব্যাটিং এর স্বীকৃতি তিনি পেলেন ম্যাচসেরা হবার মধ্য দিয়ে। 

জেএ