প্রকাশ্যে সতীর্থকে খোঁচা ধোনির!
আইপিএলে চেন্নাইয়ের হয়ে দীর্ঘদিন একে অন্যের সঙ্গে ছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি আর দীপক চাহার। দুজনের রসায়নটাও বেশ বলার মতো। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বেশ ভাইরাল তাদের খুনসুটির ভিডিও। সেই দীপক চাহারকেই অবশ্য সবার সামনে কিছুটা খোঁচা দিলেন ধোনি। হাসিখুশি ধোনি জানালেন, তার মেয়ে জিভার চেয়েও কম পরিপক্ব ত্রিশ বছর বয়েসী দীপক।
মাঠের ভেতর ক্যাপ্টেন কুল ধোনি, মাঠের বাইরেও বেশ মজার মানুষ। মাঠের স্ট্যাম্প মাইকে কিংবা সতীর্থদের সঙ্গে অনেকবারই হাসিখুশি ধোনির দেখা পেয়েছেন ভক্তরা। তবে, দীপক চাহারের সঙ্গে সম্পর্ক যেন অন্য সবার চেয়ে আলাদা।
বিজ্ঞাপন
নিজের প্রযোজনা সংস্থার প্রথম চলচ্চিত্রের অডিও এবং ভিডিও ট্রেলার প্রকাশের দিনেও উঠে এলো দীপক চাহার আর ক্রিকেট প্রসঙ্গ। চেন্নাইয়ের হয়ে আইপিএলের পুরো ক্যারিয়ার পার করেছেন ধোনি। নিজের প্রথম চলচ্চিত্রটাও হচ্ছে সেই চেন্নাই কেন্দ্র করে।
এমন মঞ্চেই প্রশ্ন উঠেছিলো, আইপিএলে সিএসকের কোন সতীর্থ সবচেয়ে বেশি জ্বালাতন করে তাকে? উত্তরে ধোনি সাথে সাথেই জানালেন দীপক চাহারের নাম।
ত্রিশ বছর বয়েসী এই পেসারকে নিয়ে ধোনি বলেন, ‘(দীপককে নিয়ে) সহজে বলার মতো কোনও শব্দ আমার কাছে নেই। যখন খুশি আমার কাছে আসে আর আমার মাথা খেয়ে চলে যায়। আমার মেয়ে জ়িভা এখন যতটা পরিণত, ততটা হতে দীপকের ৫০ বছর বয়স হয়ে যাবে। ব্যাপারটা অনেকটা ভাল মদের মতো হবে। কিন্তু তখন আমার সেটা পান করার মত বয়স থাকবে না।’
তবে চাহারের প্রতি তার এই মন্তব্যের পুরোটাই যে মুগ্ধতা থেকে, তা অস্বীকার করার উপায় নেই। এই বোলারকে নিজের আশেপাশে দেখতেই বেশি পছন্দ করেন সাবেক এই ভারতীয় অধিনায়ক।
‘(দীপক) কাছাকাছি না থাকলে ভাববেন ও কোথায় আছে। আবার আশপাশে থাকলে ভাববেন কেন ও এখানে আছে! তবে ধীরে ধীরে পরিণত হচ্ছে চাহার। এটা একটা ভাল দিক অবশ্য। যদিও সমস্যা একটাই। আমার জীবদ্দশায় হয়তো ওকে পরিণত অবস্থায় দেখতে পাব না।’
ধোনি আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারকে বিদায় বলেছেন ২০১৯ সালের বিশ্বকাপের পরেই। আইপিএলকেও বিদায় বলা তার সময়ের ব্যাপার। ক্রিকেটের পর কী করবেন, সেই আভাসও দিয়ে রেখেছেন ক্যাপ্টেন কুল। নিজের চলচ্চিত্র প্রযোজনা সংস্থা করেছেন। হয়ত সেখানেই অবসর পরবর্তী সময় বরাদ্দ রাখবেন তিনি।
জেএ