ফাইল ছবি

ভারতীয় নারী দলের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম মাচে বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ নারী দল। ব্যাটিং কিংবা বোলিং কোনো বিভাগেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেনি নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। যে কারণে মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে টাইগ্রেসদের হারতে হয়েছে ৭ উইকেটের ব্যবধানে।  

তবে এমন হারের কারণ হিসেবে ক্রিকেটারদের মধ্যে ইন্টেন্টের অভাব দেখছেন জ্যোতি। ম্যাচ শেষে অধিনায়ক বলেন, ‘আমার কাছে যেটা মনে হয়েছে যে, ইন্টেন্টের অভাব আছে। অভিজ্ঞতা বলতে কী, যখন আপনি জাতীয় দলের জার্সি গায়ে নামবেন তখন অবশ্যই আপনি অভিজ্ঞ; তাই আপনাকে নামানো হচ্ছে। কারণ নিয়মিত প্রস্তুতি ম্যাচ খেলছি, হয়তো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলছি না। আমাদের ওই পরিস্থিতিতে কী করতে হবে, কোচিং স্টাফরা অনুশীলন করাচ্ছে। তাহলে কেন পারছি না?’ 

'দুইটা ডট বল দিলে একটা চাপ তৈরি হয়, সেটাকে ওভারকাম করতে আরও দুটো ডট হচ্ছে। যখন স্বর্ণা এই কাজটা করবে বা আন্ডার নাইন্টিন খেলে আসছে তাদের জন্য ঠিক আছে। তারা হয়তো উপরের লেভেলের ক্রিকেট কম খেলেছে। কিন্তু যারা নিয়মিত বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করছে তাদের কাছ থেকে এরকম ব্যাটিং একটু হতাশাজনক।'-আরও যোগ করেন তিনি। 

ক্রিকেটারদের ইনিংস বড় করার তাগিদ জ্যোতির, ‘আমার কাছে মনে হয় স্কিল তো আছে। স্কিলফুল তারা। অবশ্যই পটেনশিয়াল আছে। তাই তো জাতীয় দলে তারা খেলছে অনেকদিন ধরে। সমস্যাটা হচ্ছে, আমার কাছে মনে হয়, এই জায়গা থেকে ব্যক্তিগতভাবে খেলোয়াড়দের বের হয়ে আসতে হবে। যখন একটা খেলোয়াড় ভালো একটা শুরু পায়, সে কেন ২৫ এর পরে আউট হবে। তাকে ইনিংসটা অবশ্যই লম্বা করতে হবে।'

অধিনায়কের চাওয়া দ্রুত ফিরে আসার সঙ্গে সিরিজেও ফেরা, ‘শট সিলেকশনের প্রতি আরেকটু চিন্তাভাবনা করতে হবে। পরিস্থিতি কী চাচ্ছে, আমরা সেটা অনেক সময় দেখছি না। আমার কাছে মনে হয় মনোযোগের ঘাটতিও হতে পারে। আমার কাছে মনে হয়, আমার মতো খেলে গেলাম। এমনও হতে পারে। যদি একটু ওভারকাম করতে পারি….স্কিল থাকলে কেন পারফরম্যান্স হবে না। এটা আমাদের সবারই প্রশ্ন। আমার কাছে মনে হয়, যত দ্রুত ক্যামব্যাক করা যায়। সিরিজ যেন ওদেরকে না দেই, সেটাই আমাদের উদ্দেশ্য।'

এসএইচ/এইচজেএস