ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ভারতকে লর্ডসে জিতিয়ে গায়ের জার্সি খুলে উদযাপন করেছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলি। তার ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট আলোচনা তুললেই এটিও স্বভাবতই সামনে আসে। ২০০০ সালে ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগে ভারতীয় ক্রিকেট যখন জর্জরিত, তখনই দায়িত্বে আসেন গাঙ্গুলি। এরপর তার নেতৃত্বে অন্যরকম একটি দল গড়ে ওঠে। যে দলটি ২০১১ বিশ্বকাপের শিরোপা নিয়ে যায় ভারতে। পরবর্তীতে ব্যক্তিগত এবং দলীয়ভাবে অনেক অর্জন আসে গাঙ্গুলির হাত ধরে। যিনি আজ (৮ জুলাই) ৫১তম বছরে পা দিয়েছেন

ওপার বাংলার এই ‘দাদা’কে এবার নতুন এক ভূমিকায় দেখা যাবে। নিজের ১৬ বছরের ক্যারিয়ারের অভিজ্ঞতা তিনি এবার ভক্তদের সঙ্গে ভাগ করে নেবেন। যার জন্য ‘সৌরভ গাঙ্গুলি মাস্টারক্লাস’ নামে একটি অ্যাপ খোলা হয়েছে।

আরও পড়ুন >> সৌরভ গাঙ্গুলির জমি দখলের চেষ্টা, থানায় অভিযোগ 

তবে এই অ্যাপটি চালুর পেছনে একটি মহৎ উদ্দেশ্য রয়েছে গাঙ্গুলির। এই অ্যাপের মাধ্যমে যা আয় হবে, সেটি দান করা হবে দুঃস্থ মানুষদের শিক্ষার কাজে। ভারতীয় ক্রিকেটের এই ‘মহারাজ’ এভাবেই সমাজের কল্যাণে কাজ করতে চান। অ্যাপটিতে সৌরভকে নিয়ে অন্য ক্রিকেটারদের নানা মন্তব্য রয়েছে। বীরেন্দ্র শেবাগ থেকে যুবরাজ সিং, হারভজন সিং ও অ্যালান ডোনাল্ডরা সেখানে বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন।

জানা গেছে, মাস্টারক্লাস অ্যাপে এই মুহূর্তে বাংলা এবং ইংরেজী দুই ভাষাতেই ২টি কোর্স করার সুযোগ রয়েছে। এই কোর্সে ভর্তির খরচ খুব বেশি নয়। ভর্তি হতে লাগবে ৪৯৯ টাকা। তবে ভর্তির সময়েই একেবারে পুরো টাকা দিতে হবে।

গাঙ্গুলির সাবেক সতীর্থ এবং অত্যন্ত কাছের শেবাগ বলেছেন, ‘সৌরভ সব সময়েই আগ্রাসী মেজাজের, নিজের লক্ষ্যে স্থির থাকে বরাবর। একইসঙ্গে তার রয়েছে হার না মানা মানসিকতা। আর সেই কারণেই সে দেশের অন্যতম সফল অধিনায়ক ছিলেন।’

আরও পড়ুন >> বিশ্বকাপের চেয়ে আইপিএল জেতা কঠিন, দাবি সৌরভের

হারভজন বলেছেন, ‘আমার খারাপ সময়ে সৌরভ পাশে দাঁড়িয়েছিল। ধন্যবাদ প্রকাশের কোনো ভাষা নেই আমার কাছে।’ যুবরাজ সিং-ও অধিনায়ক সৌরভের পছন্দের ক্রিকেটার। তার হাত ধরেই জাতীয় দলে ঢুকেছিলেন যুবি। তিনি সৌরভের মতো অধিনায়কের জন্য জীবন দিতেও রাজি।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সৌরভ গাঙ্গুলি ১১৩টি টেস্ট এবং ৩১১টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন। যেখানে দুই ফরম্যাটে তার রান ১৮ হাজার ৫৭৫। ১৯৫ ম্যাচে তিনি টিম ইন্ডিয়াকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এর মধ্যে ৯৭টি ম্যাচ জিতেছে ভারত। এরপর তিনি ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্টও হয়েছিলেন।

এএইচএস