ওয়ানডেতে মুশফিকের ‘২৫০’
বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার রেকর্ড মুশফিকুর রহিমের। সেটি অবশ্য ‘মিস্টার ডিফেন্ডেবল’ আরও আগেই পূর্ণ করেছিলেন। এবার নিজের আরেকটি মাইলফলক ম্যাচ খেলতে নেমেছেন মুশি। আফগানিস্তানের বিপক্ষে চলমান ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটি তার ২৫০তম। এর আগে নিজের বেশিরভাগ ইউনিক সংখ্যার ম্যাচে টাইগাররা জয় পেয়েছিল। আজকের ম্যাচটিও কী টাইগারদের পক্ষে থাকবে?
বাংলাদেশের হয়ে এখন পর্যন্ত পাঁচ ক্রিকেটার অন্তত ২০০ ওয়ানডে খেলেছেন। তারা কারা, পঞ্চপাণ্ডব। লাল-সবুজ জার্সিতে জনপ্রিয় সেই পাঁচজন ক্রিকেটার হচ্ছেন মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল (২৪১), সাকিব আল হাসান (২৩৩), মাহমুদউল্লাহ (২১৮) ও মাশরাফি বিন মুর্তজা (২১৮)।
বিজ্ঞাপন
২০০৬ সালে হারারেতে ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অভিষেক হয়েছিল মুশফিকের। সেই ম্যাচে বাংলাদেশ ৮ উইকেটে জয় পেয়েছিল। যার কারণে তিনি ব্যাটিংয়ে নামারও সুযোগ পাননি। এছাড়া খালেদ মাসুদ সে ম্যাচে উইকেটরক্ষক থাকায় ব্যাটার হিসেবে খেলেছিলেন মুশফিক।
আরও পড়ুন >> তামিম ফেরায় আনন্দ হচ্ছে ‘বন্ধু’ মুশফিকের
ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৫০তম ওয়ানডে ম্যাচও একই প্রতিপক্ষ ও ভেন্যুতে নেমেছিলেন বাংলাদেশের এই নির্ভরযোগ্য ব্যাটার। মজার ব্যাপার সেই ম্যাচেও বাংলাদেশ জয় পায় ৮ উইকেটে। তবে ব্যাটিং অর্ডারের ছয়ে থাকা মুশফিক ২০০৯ সালের ম্যাচটিতেও ব্যাটে নামতে পারেননি। এরপর নিজের শততম ম্যাচে মুশফিক খেলেছেন মিরপুর। ২০১১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষের ম্যাচে চার নম্বরে নেমেছিলেন মুশফিক। দলের জয়ের সঙ্গে তিনি নিজেও সেই ম্যাচে ভালো করেছিলেন।
এই ডানহাতি ব্যাটারের ১৫০তম ম্যাচও বাংলাদেশ জিতেছিল। এবার প্রতিপক্ষ ভারত। ২০১৫ সালের জুনে তারা বাংলাদেশে এসে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হেরেছিল। তখন মূলত মাশরাফি বিন মুর্তজার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ৫০ ওভারের ক্রিকেটে দুর্দান্ত সময় কাটাচ্ছিল।
মুশফিকের ২০০তম ম্যাচ আর টাইগারদের জন্য স্মরণীয় হতে পারেনি। বাংলাদেশ সেদিন মাত্র ২২৬ রানে গুটিয়ে যায়। মুশি ৩৬ বলে করেছিলেন ২৪ রান। ২০১৯ সালের সেই ম্যাচটি হয়েছিল নিউজিল্যান্ডের মাটিতে। যেখানে কিউইরা জিতে নেয় ৮ উইকেটে।
আরও পড়ুন >> টি-টেন লিগে দল পেলেন মুশফিক
এবার মুশফিক আরেকটি মাইলফলকে উপস্থিত। তবে ম্যাচটিতে আফগানিস্তান ঝড়ো ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশি বোলারদের নাভিশ্বাস তুলছেন। ওপেনিং জুটিতেই তারা পার করেছেন দুইশ রানের কোঠা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আফগানদের সংগ্রহ কোনো উইকেট না হারিয়ে ৩৪.২ ওভারে ২৩১ রান।
এএইচএস