চীনের দুঃখ যদি হয় হোয়াংহো, গোমতী নদীকে যদি বলা হয় কুমিল্লার দুঃখ, তবে অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নারের দুঃখ যেন ইংল্যান্ডের স্টুয়ার্ট ব্রড। এই ইংলিশ বোলারের হাতে এখন পর্যন্ত ১৭ বার আউটের শিকার হয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার। ব্যতিক্রম হয়নি চলতি অ্যাশেজের তৃতীয় টেস্টেও। 

হেডিংলি টেস্টের ২য় দিনে অস্ট্রেলিয়া যখন ব্যাট করতে নামে তখন তাদের লিড মাত্র ২৬ রানের। দলের যখন দরকার ছিলো দারুণ এক শুরুর, তখনই সাজঘরে ফিরেছেন ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। উইকেট নিয়েছেন স্টুয়ার্ট ব্রড। জ্যাক ক্রলির হাতে ক্যাচ দিয়ে ওয়ার্নার যখন ফিরছিলেন তখন তার রান কেবল ১। দলীয় সংগ্রহ ছিলো ১১। 

ওয়ার্নারের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে স্টুয়ার্ড ব্রড নামের এই দুঃস্বপ্নের শুরু হয়েছিলো ২০১৩ সালে। ডারহামে ব্রডের বলে সরাসরি বোল্ড হয়েছিলেন এই অজি ওপেনার। এরপর যত দিন গড়িয়েছে ততই এই দ্বৈরথ মাত্রা ছাড়িয়েছে। আর তাতে স্পষ্টই এগিয়ে আছেন ইংলিশ বোলার স্টুয়ার্ট ব্রড। 

তবে এই দ্বৈরথের সবচেয়ে স্মরণীয় বছর ছিলো ২০১৯। ওই এক বছরেই সাতবার ওয়ার্নারকে প্যাভিলিয়নের পথে পাঠিয়েছিলেন ব্রড। ওল্ড ট্রাফোর্ড আর এজবাস্টন টেস্টের দুই ইনিংসেই ইজি ব্যাটারকে পরাস্ত করেছিলেন ইংলিশ এই পেসার। 

চলতি অ্যাশেজের তৃতীয় টেস্টে এসে এখন পর্যন্ত ৩ বার ব্রডের বলে আউট হয়েছেন ওয়ার্নার। এজবাস্টন টেস্টের প্রথম ইনিংসের পর, হেডিংলি টেস্টের দুই ইনিংসেই ইংলিশ পেসারের কাছে কাবু হয়েছে তিনি। 

অবশ্য কোনো একক বোলারের হাতে সবচেয়ে বেশিবার আউট হবার রেকর্ডে ওয়ার্নার শীর্ষে নেই। ব্রডের বলে ১৭ বার আউট হয়েও তালিকার তিন নাম্বারে আছেন তিনি। 

শীর্ষে আছেন সাবেক ইংলিশ ব্যাটার মাইক আথারটন। অজি গ্রেট গ্লেন ম্যাকগ্রার বলে ১৯ বার আউট হয়েছিলেন আথারটন। তার নামটা শীর্ষ পাঁচে আরও দুবার দেখা যায়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি পেসার কার্টলি অ্যামব্রোস এবং কোর্টনি ওয়ালশের বলে ১৭ বার আউট হয়েছিলেন তিনি। তালিকার দুইয়ে আছেন অস্ট্রেলিয়ার আর্থার মরিস। ইংলিশ বোলার অ্যালেক বেডসারের বলে ১৮ বার আউট হয়েছিলেন এই অজি গ্রেট।

এই তালিকায় কিছুটা নিচের দিকে গেলে পাওয়া যাবে জো রুটের নামটাও। হেডিংলি টেস্টের প্রথম ইনিংসে প্যাট কামিন্সের শিকার হয়েছেন তিনি। এই নিয়ে ১০ম বারের মতো কামিন্সের বলে আউট হয়েছেন রুট।।

জেএ