প্রথম দুটি টেস্টে বোলার ও ব্যাটারদের সমান দাপট দেখেছিল অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের চলমান অ্যাশেজ। তৃতীয় ম্যাচে এসে একক আধিপত্য দেখাচ্ছেন দল দুটির বোলাররা। প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড পেসার মার্ক উডের পাঁচ শিকারে ২৬৩ রানেই গুটিয়ে যায় সফরকারী অস্ট্রেলিয়া। তবে অলরাউন্ডার মিচেল মার্শের সেঞ্চুরি তাদেরকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিয়েছে। দ্বিতীয় ইনিংসে অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের গতি দেখেছে ইংলিশরা। তার ৬ শিকারে বেন স্টোকসরা মাত্র ২৩৭ রানে অলআউট হন।

প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের হয়েও একজন মাত্র ব্যাটার উল্লেখযোগ্য রান পেয়েছেন। আগের ম্যাচে লর্ডসে দেড়শ পেরোনো ইনিংস খেলে জয়ের ইংল্যান্ডকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যাচ্ছিলেন অধিনায়ক স্টোকস। তবে শেষ পর্যন্ত তার আউটে সেই আশা গুড়েবালি হয়ে যায়। চলমান টেস্টের প্রথম ইনিংসেও তিনিই একমাত্র উল্লেখ করার মতো রান করেছেন ইংলিশদের হয়ে। ৬টি চার এবং ৫টি ছয়ে তিনি ৮০ রান করেন।

আড়াইশ’র আগে অলআউট হওয়ায় ইংল্যান্ডের চেয়ে ২৬ রান বেশি নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তাদের লিড বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১৬ রানে। তবে তারাও ইংলিশ বোলারদের সামনে বেশ নাজেহাল হচ্ছে। ৯০ রানেই ৪ উইকেট হারিয়েছেন স্টিভ স্মিথরা।

এর আগে প্রথম দুই টেস্ট হেরে সিরিজে দারুণভাবে পিছিয়ে পড়ে ইংল্যান্ড। তৃতীয় টেস্ট ম্যাচটি তাদের সিরিজ বাঁচানোর লড়াই। হেডিংলিতে তৃতীয় টেস্ট খেলতে নেমে শুরুটা তাদের দারুণই হয়েছিল। প্রথম ইনিংসে ১০০ রানের আগে তারা ৪ অজি ব্যাটারকে ফিরিয়ে দেয়। পরবর্তীতে টেস্টে ফিরেই অনবদ্য এক ইনিংস খেলে দলের কঠিন পরিস্থিতি সামাল দেন মার্শ। তুলে নেন টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি। সমান বল খেলে তিনি থামেন ১১৮ রান করে। ১৭টি চারের সঙ্গে ওয়ানডে স্টাইলের ইনিংসটিতে ছয় ছিল ৪টি। এছাড়া ট্র্যাভিস হেড করেন ৩৯ রান।

আগের দুই টেস্টে থাকা অভিজ্ঞ ও সাদা পোশাকে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি জেমস অ্যান্ডারসনকে এই ম্যাচে নামায়নি ইংলিশরা। তার বদলি হিসেবে নেমেই বাজিমাত উডের। মাত্র ৩৪ রানেই তিনি ৫ উইকেট নেন। মার্শের ঘুরে দাঁড়ানো বাদ দিলে পুরো সময়টা তার দখলেই ছিল। এছাড়া ক্রিস ওকস ৩টি এবং স্টুয়ার্ট ব্রড নেন ২টি উইকেট।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে নাজুক ব্যাটিং দেখিয়েছে ব্রেন্ডন ম্যাককালামের দল। একশ রান পেরোনোর আগে তারা ৫ ব্যাটারকে হারিয়ে বসে। তার ভেতর তিনটি উইকেটই কামিন্সের দখলে। এরপর একপ্রান্ত আগলে একা লড়ে গেছেন স্টোকস। তার ৮০ রান ছাড়া সেভাবে কোনো ইংলিশ ব্যাটার রান পাননি। তবে শেষদিকে উড ৮ বলে ২৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেছেন। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ ৬ উইকেট নেন কামিন্স। এছাড়া মিচেল স্টার্ক নেন ২ উইকেট।

২৬ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটে নামে কামিন্সের দল। এখন পর্যন্ত হওয়া ৯৬ রানেই তারা ৪ উইকেট হারিয়েছে। উসমান খাজা ৪৩ এবং মার্নাস লাবুশেন ৩৩ রানে আউট হয়েছেন। মঈন আলী নিয়েছেন দুটি উইকেট। এছাড়া একটি করে পেয়েছেন ব্রড ও ওকস।

এএইচএস