বিশ্বকাপে ওঠার দৌড়ে শ্রীলঙ্কার পর স্বাভাবিক দৃষ্টিতে সবার সামনে ছিল জিম্বাবুয়ে। কিন্তু সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজের পর জিম্বাবুয়েও আসন্ন ভারত বিশ্বকাপের আগেই বাড়ির পথ ধরেছে। দুই দলকেই বিদায় করে দেওয়া স্কটল্যান্ড বিশ্বকাপ খেলার জোর সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু তাদেরকে হারিয়ে সর্বশেষ দল হিসেবে ওয়ানডে বিশ্বকাপের টিকিট কেটেছে নেদারল্যান্ডস। স্কটল্যান্ডের দেওয়া ২৭৮ রানের জবাবে তারা ৪ উইকেটে জয় পেয়েছে।

স্কটল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডসের মধ্যকার ম্যাচটি ছিল ভারত বিশ্বকাপের সর্বশেষ দল বাছাইয়ের লড়াই। সেই লড়াইয়ে বাছাইপর্বের শুরু থেকেই দাপট দেখানো ডাচরাই শেষপর্যন্ত জিতে নিয়েছে। জিম্বাবুয়ের বুলাওয়েতে আজ (৬ জুলাই) দল দুটির নক-আউট ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় নেদারল্যান্ডস।

আগে ব্যাট করতে নেমে স্কটিশরা শুরুতেই ছিল নড়বড়ে। দলীয় ১ রানেই তাদের প্রথম উইকেটের পতন ঘটে। ডাচ পেসার লোগান ভ্যান বিকের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন ওপেনার ম্যাথু ক্রস। এরপর আরেক ওপেনার ক্রিস্টোফার ম্যাকব্রাইড এবং ওয়ানডাউনে নামা ব্রেন্ডন ম্যাকমুলেন মিলে ৪৫ রানের জুটি গড়েন। ৩২ রান করে ম্যাকব্রাইড বিদায় নিলে চাপে পড়ে যায় স্কটল্যান্ড। যার ফলশ্রুতিতে অল্প রানের ব্যবধানে তারা আরও এক ব্যাটারকে হারায়। মাত্র ৯ রানে ফেরেন জর্জ মুনসী।

এরপর স্কটিশ অধিনায়ক রিচি বেরিংটনকে নিয়ে শক্ত হাতে লড়েছেন ম্যাকমুলেন। জিম্বাবুয়ে ও ক্যারিবীয়ানদের বিদায়ের পেছনেও ম্যাকমুলেনের অনেক ভূমিকা ছিল। সেই ধারাবাহিকতায় তিনি ওয়ানডেতে নিজের অভিষেক সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন। ১১টি চার ও তিন ছয়ে তিনি ১০৬ রানে থামার আগে স্কটিশদের দিয়ে যান লড়াইয়ের পুঁজি। বেরিংটনের সঙ্গে তার জুটি ১৩৭ রানের।

এরপর বেরিংটনও ব্যক্তিগত ফিফটি তুলে নেন। তবুও আড়াইশ পেরোতে কষ্ট হয়ে যাচ্ছিল স্কটিশদের। তবে শেষদিকে ঝড়ো ব্যাটিং করেছেন দুই টেল-এন্ডার ব্যাটার থমাস ম্যাকিনটস ও ক্রিস গ্রিভস। ম্যাকিনটসের ৩৮ (২৮ বল) এবং গ্রিভসের ১৮ রানের সুবাদে তারা ২৭৭ রানের লড়াইয়ের পুঁজি পায়।

জবাবে ৬৫ রানের জুটিতে নেদারল্যান্ডসকে জয়ের ভিত গড়ে দেন বিক্রমজিৎ সিং (৪০) ও ম্যাক্স ও’ডাউড (২০)। তবে দলীয় ৭২ রানের মধ্যে ফিরে যান এ দুজন। ডি লেডে এক প্রান্ত  আগলে রাখলেও অন্য প্রান্তে নিয়মিত উইকেট পড়ায় কিছুটা চাপে ছিল নেদারল্যান্ডস।

১৬৩ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারায় তারা। এরপর অবশ্য বিপদ আর বাড়তে দেননি ডি লেডে। ব্যক্তিগত ১২৩ রানে তিনি যখন রান আউট হয়ে ফেরেন, জয় থেকে মাত্র ২ রান দূরে নেদারল্যান্ডস। ডি লেডেরও এটি অভিষেক ওয়ানডে সেঞ্চুরি। বিশ্বকাপে ওঠার দৌড়ে এমন পারফরম্যান্স তার জন্য অবশ্যই স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এছাড়া জয়ের সময় ৩৩ রানে অপরাজিত ছিলেন সাকিব জুলফিকার। আরও ৪৩ বল হাতে রেখেই ডাচরা অবিস্মরণীয় জয় পেয়েছে।

এর আগে ডি লেডই স্কটিশদের রানকে চেপে ধরার মূল কাজটা করেছিলেন। কারণ তিনি একাই পেয়েছেন ৫ উইকেট। ওয়ানডে ম্যাচে একইসঙ্গে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট পাওয়ায় রেকর্ড বইয়েও নাম তুলেছেন ডে লেডে।

এএইচএস