ভারতের মাটিতে হতে যাওয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপের আর মাত্র তিন মাস বাকি। ইতোমধ্যে টুর্নামেন্টটির চূড়ান্ত সূচি ঘোষণা করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। এর আগেই ভারতের দুটি ভেন্যু নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। কিন্তু আইসিসি তাদের ভেন্যু পরিবর্তনের দাবি মানেনি। এখন পর্যন্ত দেশটি ভারতে বিশ্বকাপ খেলতে যাবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তবে সেই প্রক্রিয়ার প্রাথমিক অংশ হিসেবে বিশ্বকাপের ভেন্যু পরিদর্শনে ভারতে প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে পাকিস্তান।

ভারতের বেঙ্গালুরুতে চলমান ফুটবল টুর্নামেন্ট সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশটি অংশ নিয়েছিল। যদিও জয়হীন সফরে প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নেয় তারা। সেই ধারাবাহিকতায় ক্রিকেট দলও আসন্ন আইসিসির মেগা আসরটিতে খেলতে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন >> ভারত বিশ্বকাপের পূর্ণাঙ্গ সূচি প্রকাশ

পাকিস্তান ও ভারতের কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে ভেন্যু পরিদর্শনে প্রতিনিধি দলের সফরের তথ্য জানানো হয়েছে। বাবর আজমরা ভারত বিশ্বকাপে খেলবে কিনা নিয়ে তা নির্ভর করছে সেখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থার ওপর। সেটা খুঁটিয়ে দেখতেই নিরাপত্তা প্রতিনিধিরা সফরে যাবেন। আসন্ন বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডে পাঁচটি মাঠে ম্যাচ রয়েছে পাকিস্তানের। প্রতিনিধি দল সেখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখে পাকিস্তান সরকারকে প্রতিবেদন জমা দেবেন। যার ওপর ভিত্তি করেই বাবরদের বিশ্বকাপে যেতে অনুমোদন দেবে সরকার।

পাকিস্তান ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের এক সূত্রের বরাতে ভারতীয় সংবাদসংস্থা পিটিআই বলছে, ‘পিসিবির পক্ষ থেকে নিরাপত্তা প্রতিনিধিদের পাঠানো হবে। মাঠগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরীক্ষা করবে তারা। ওই সফরে বিশ্বকাপের সময় কী ধরনের আয়োজন থাকবে তাও দেখা হবে। প্রতিনিধি দলটি চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, আহমেদাবাদ এবং কলকাতায় যাবে।’

আরও পড়ুন >> বিশ্বকাপে ৬ ভেন্যুতে ৯ ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ

জানা গেছে, ভারতে কোনো সফরের আগে নিরাপত্তা দল পাঠানো হয়। পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকেই পাঠানো হয় তাদের। যেখানে তারা পূর্ণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা খুঁটিয়ে দেখবেন। শুধু ক্রিকেটারদের নিরাপত্তাই নয়, পাকিস্তানের সমর্থক ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তাও দেখবেন তারা।

বর্তমানে পাকিস্তান ক্রিকেটে ঈদের ছুটি চলছে। তারপর বোর্ডের নতুন চেয়ারম্যান ঠিক করা হবে। নিরাপত্তা দলটিকে ভারতে পাঠানোর বিষয়ে তিনিই সিদ্ধান্ত নেবেন। পরবর্তীতে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড হয়ে নিরাপত্তা প্রতিবেদন যাবে দেশটির সরকার, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড এবং আইসিসিতে।

এএইচএস