২০০৭ সালে ভারত জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপানোর ১৬ বছর পূর্ণ হয়েছে অধিনায়ক রোহিত শর্মার। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ২০ বছর বয়সে তার অভিষেক হয়েছিল। বর্তমানে ভারতের কোচ রাহুল দ্রাবিড় ছিলেন তখন জাতীয় দলের অধিনায়ক। এখন পর্যন্ত সবমিলিয়ে ৪৪১টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন, করেছেন ১৭ হাজার ১১৫ রান। ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটে ৪৩টি সেঞ্চুরি করা রোহিতের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার আজ ১৬ বছর পূর্ণ হয়েছে।

তবে শুধু পরিসংখ্যানই রোহিতের ক্যারিয়ার বিচারের জন্য যথেষ্ট নয়। একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে তিনি ওয়ানডে ক্রিকেটে তিনটি ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন। যা একদিনের ক্রিকেট ইতিহাসে বিরল রেকর্ডও। মাঠে এমন ব্যতিক্রমী নৈপুণ্য রোহিত শর্মাকে ‘হিটম্যান’ উপাধিও দিয়েছে।

পেশাদার ক্রিকেট ক্যারিয়ারের ১৬ বছর পূর্তিতে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন রোহিত। দ্রাবিড়ের সঙ্গে প্রথমবার জাতীয় দলে সাক্ষাতের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘প্রথমবার বেঙ্গালুরুতে একটি শিবিরে দ্রাবিড়ের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পেয়েছিলাম। খুবই সংক্ষিপ্ত কথাবার্তা হয়েছিল। আসলে আমি তখন স্নায়ুর চাপে ভুগছিলাম। আমি এমনিতেই আমার সমবয়সীদের সঙ্গেও খুব একটা কথা বলি না। সেদিনও চুপচাপ নিজের খেলা নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম।’

জাতীয় দলে অভিষেককালীন স্মৃতি হাতড়ে রোহিত বলেন, ‘সেদিন মাটিতে পা পড়েনি আমার। মনে হয়েছিল চোখ খুলে স্বপ্ন দেখছি।’

রোহিতকে নিয়ে তার প্রথম অধিনায়ক ও জাতীয় দলের কোচ দ্রাবিড় বলেন, ‘আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের আগে থেকেই ওকে চিনতাম, যখন আমরা চেন্নাইতে চ্যালেঞ্জার ট্রফি খেলছিলাম। আমরা সবাই জানতাম সে দলের জনন্য বিশেষ হতে চলেছে। তারপর তো ওর প্রতিভার ঝলক আমরা সবাই দেখেছি।’

দ্রাবিড় আরও বলেন, ‘এই দীর্ঘ সময় শুধু অধিনায়ক হিসেবেই নয়, মানুষ হিসেবেও রোহিত যেভাবে নিজেকে পরিণত করেছে তা শেখার মতো। আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স দলের হয়েও ওর প্রাপ্তির ভাণ্ডার সত্যিই অতুলনীয়।’

জাতীয় দলের এই ওপেনারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তার সতীর্থ বিরাট কোহলিও, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখার পর দেখি সবাই ওর নাম বলতে থাকে। আমিও খুবই কৌতুহলী ছিলাম। আমরাও প্রতিভাবান ক্রিকেটার ছিলাম, তাই ভাবতাম ওকে নিয়েই কেন এত মাতামাতি হয়! পরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওর খেলা দেখি, সেদিনই বুঝে যাই কেন রোহিতকে নিয়ে লোকের মধ্যে এত উন্মাদনা। ওর ব্যাটিং দেখে আমিও বিস্মিত হয়েছিলাম।’

এএইচএস