জো রুটের সেঞ্চুরির জবাবে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন উসমান খাজা। তার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে লিডের স্বপ্ন দেখছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ালেন ওলি রবিনসন। বিধ্বংসী এক স্পেলে প্রথমে ফেরালেন খাজাকে। এরপর তাসের ঘরের মতো উড়ে গেল অস্ট্রেলিয়ার লোয়ার অর্ডার। এজবাস্টন টেস্টের তৃতীয় দিনে আজ মধ্যাহ্ন বিরতির আগেই দলীয় ৩৮৬ রানেই গুটিয়ে গেছে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া। আর তাতে ৭ রানের লিড পেয়েছে স্বাগতিক ইংল্যান্ড।

অ্যাশেজ সিরিজের আগেই ইংল্যান্ড দলের বার্তা ছিল বাজবল মানসিকতা দিয়ে দর্শকদের বিনোদিত (ইন্টারটেইন) করা। তা অবশ্য তাদের ব্যাটিংয়েই দেখা মিলেছে। প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড ওভারপ্রতি ৫ রানের গড়ে ৩৯৩ রান করেই প্রথম দিনেই ইনিংস ঘোষণা করেছিল। অথচ ৮ উইকেট পড়ে গেলেও, তখন ক্রিজে ছিলেন সেঞ্চুরিয়ান জো রুট। তবুও হুটহাট ইনিংস ঘোষণার বিষয়টি অনেককেই অবাক করে দিয়েছিল।

জবাব দিতে নেমে প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সর্বোচ্চ ১৪১ রানের ইনিংস খেললেন উসমান খাজা। এছাড়া অর্ধশতকের দেখা পান ট্রাভিস হেড ও অ্যালেক্স ক্যারি।

৫ উইকেটে ৩১১ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষ করা অস্ট্রেলিয়া আজ তৃতীয় দিনের শুরুর ঘণ্টায় ষষ্ঠ উইকেট হারিয়ে বসে। অ্যালেক্স ক্যারিকে ফিরিয়ে প্রথম উইকেটের দেখা পান জেমস অ্যান্ডারসন। ৯৯ বলে ১০ চার ও ১ ছয়ে ৬৬ রান করেন ক্যারি। তাতে ভেঙে যায় খাজার সঙ্গে ১১৮ রানের জুটি।

এরপরও লিড নেওয়ার পথে বেশ ভালোভাবেই ছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু সেঞ্চুরিয়ান খাজার বিদায়ে যেন হঠাৎই ধাক্কা। ইংলিশ অধিনায়ক স্টোকস বল তুলে দিয়েছিলেন রবিনসনের হাতে। আর তা কাজ করে ম্যাজিকের মতো। রবিনসনের প্রায় ইয়র্কার লেন্থের বল স্টাম্প উড়িয়ে দেয়। ৩২১ বলে ১৪ চার ও ৩ ছয়ে ১৪১ রানে থামেন খাজা। এরপর আর বেশিক্ষণ টেকেনি অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস। শেষ উইকেট হিসেবে অধিনায়ক প্যাট কামিন্স বিদায় নেন ৩৮ রান করে। 

আগের দিন ডেভিড ওয়ার্নারকে উইকেটে থিতু হতে দেননি ইংলিশ পেসার স্টুয়ার্ট ব্রড। ছন্দহীন ওয়ার্নার করেন ৯ রান। ওয়ার্নারের পরের বলেই মার্নাস লাবুশেনেকে বিদায় করে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন ব্রড। হ্যাটট্রিকের আশা ভেস্তে গেলেও স্টিভ স্মিথকে ব্যক্তিগত ১৬ রানে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের কাছে রাখেন বেন স্টোকস।

৬৭ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর চতুর্থ উইকেটে ট্র্যাভিস হেডকে নিয়ে ইনিংস মেরামত করেন খাজা। তাদের ৮১ রানের জুটি ভাঙেন টেস্টে অবসর ভেঙে ফেরা মঈন আলী। এরপর ক্যামেরন গ্রিনকেও ফেরান এই অলরাউন্ডার। স্বভাবসুলভ আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ১ ছক্কা ও ৮ চারে ঠিক ৫০ রান করে আউট হন হেড। গ্রিন থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হয়েছেন। মঈনের বলে বোল্ড হওয়ার আগে তিনি ৪টি চার এবং এক ছয়ে করেন ৩৮ রান।

ইংল্যান্ডের হয়ে ব্রড ও রবিনসন ৩টি করে উইকেট শিকার করেন। মঈন আলি পান ২ উইকেট। বাকি দুই উইকেট ভাগাভাগি করেন অ্যান্ডারসন ও স্টোকস।

এফআই