পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) দেওয়া ‘হাইব্রিড মডেলে’ই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এবারের এশিয়া কাপ। প্রথমে সেই প্রস্তাবে ভারত অনাগ্রহ দেখালেও শেষ পর্যন্ত মডেলটি মেনেই এশিয়া কাপে খেলবে তারা। আগামী ৩১ আগস্ট থেকে শুরু হতে যাওয়া এই প্রতিযোগিতাটির জন্য ইতোমধ্যে সূচি নির্ধারিত হয়েছে। চারটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে পাকিস্তানে এবং বাকি নয়টি ম্যাচ শ্রীলঙ্কায়। সবমিলিয়ে ওই মডেলটি পাকিস্তান-ভারত উভয় দেশকেই উপকৃত করেছে বলে মনে করছেন সাবেক পাক ক্রিকেটার রশিদ লতিফ।

এর আগে পাকিস্তানে গিয়ে ভারতের খেলতে না চাওয়া এবং তার জবাবে ভারত বিশ্বকাপ বয়কটের হুমকিতে টানা অনেকদিন ধরেই অস্থিরতা লেগে ছিল। যার কারণে ভেস্তে যেতে বসেছিল এবারের এশিয়া কাপ। ভারতের আপত্তি থাকায় তাদের ম্যাচগুলো সংযুক্ত আরব আমিরাতে আয়োজনের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তবে তাতেও বাংলাদেশ-ভারতসহ অন্য দেশগুলোর সমর্থন না থাকায় সেই প্রস্তাব ভেস্তে যায়। তবে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) এবার তাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কাকে টুর্নামেন্ট আয়োজনের জন্য মনোনয়ন করেছে এশিয়ান সংস্থাটি।

আরও পড়ুন >> এশিয়া কাপের চূড়ান্ত সূচি ও ভেন্যু প্রকাশ

এসিসি সভাপতি জয় শাহ, যিনি একইসঙ্গে বিসিসিআই-এর সাধারণ সম্পাদকও। তার প্রচেষ্টার জন্য একটি স্বীকৃতির প্রয়োজন ছিল মনে করছেন সাবেক পাকিস্তানি ক্রিকেটার রশিদ লতিফ। অন্যদিকে বর্তমান চ্যালেঞ্জের কারণে পিসিবিও মুখ বাঁচাতে চায়। এই হাইব্রিড মডেল তারই অবদান। এতে দুই দেশের বোর্ডই জয়ী হয়েছে বলে মন্তব্য লতিফের।

শ্রীলঙ্কাকে ‘উল্লেখযোগ্য সুবিধাভোগী’ উল্লেখ করে সাবেক এই পাকিস্তানি ক্রিকেটারের অভিমত, ‘ভারত ও পাকিস্তান উভয়েই এতে সফল হয়েছে। তৃতীয় সুবিধাভোগী শ্রীলঙ্কা, যেই দেশটি প্রায় নয়টি ম্যাচ নিয়ে টুর্নামেন্টের আয়োজক হবে। আফগানিস্তান, নেপাল এবং বাংলাদেশ তাদের নিজ নিজ অংশগ্রহণের ফি পাবে, তাই এটি একটি খুব ভালো ইভেন্ট হবে। পাকিস্তান-ভারত খুশি, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কাও খুশি।’

আরও পড়ুন >> দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর সমঝোতা, আহমেদাবাদেই পাক-ভারত ম্যাচ

রশিদ লতিফ আরও বলেন, ‘এটি একটি সাধারণ দৃশ্য। জয় শাহ জিততে চেয়েছিলেন, তার কাজের জন্য স্বীকৃতি দরকার ছিল। এসিসির সভাপতি হওয়ার কারণে তিনি কিছু অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন, তাই তাদের পুরস্কৃত করতে চেয়েছিলেন তিনি। পিসিবিও একটি গুরুতর পরিস্থিতিতে রয়েছে। তাদের মুখ বাঁচাতে এবং চ্যালেঞ্জগুলি কাটিয়ে উঠতে একটি সমাধান খুঁজে বের করার চেষ্টায় ছিল।’

আগামী ৩১ আগস্ট শুরু হয়ে এশিয়া কাপ চলবে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। ৬টি দলের (ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও সহযোগী সদস্য দেশ হিসেবে খেলবে নেপাল) অংশগ্রহণে এই টুর্নামেন্টে ১৩টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। হাইব্রিড মডেল অনুসারে প্রথম রাউন্ডের চারটি ম্যাচ বাদে বাকি খেলা হবে শ্রীলঙ্কায়।

এএইচএস