দুই বছর পর বাংলাদেশ জাতীয় দলের ওয়ানডেতে ফিরেছেন নাঈম শেখ। এর আগে সর্বশেষ ২০২১ সালের মে মাসে তিনি টাইগারদের হয়ে ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছিলেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের সুফল পেলেন এবার। আসন্ন আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ দলে নাঈম শেখ ডাক পেয়েছেন। দীর্ঘ আকাঙ্ক্ষিত সেই ডাক পেয়েই ঢাকা পোস্টকে নিজের অনুভূতির কথা শুনিয়েছেন বাঁ-হাতি এই ওপেনার।

২ বছর পর ওয়ানডে দলে, কেমন লাগছে?
নাঈম : আলহামদুলিল্লাহ, অবশ্যই ভালো লাগছে। এতদিন পর যেহেতু ডাক পেয়েছি, একটু তো ভালো লাগা আছেই।

এখনই ওয়ানডে দলে ডাক পাওয়ার বিষয়টি আশা করেছিলেন কিনা!
নাঈম : যখন একজন খেলোয়াড় ভালো খেলেন, তখন তার চাওয়া-পাওয়া তো থাকবেই। যখন ডমিনেটিং পারফর্ম করবেন তখন আপনার আশা থাকবে জাতীয় দলে খেলার। সবসময় মাথায় ছিল নিজের পরিকল্পনা কাজে লাগিয়ে ভালো খেলতে পারলেই জাতীয় দলে কল পাবো। আবার সুযোগ পেলে জাতীয় দলেও ভালো খেলতে হবে। জাতীয় দলের কলের জন্যই মাঝখানের সময়টাতে অপেক্ষা করছিলাম, কখন সেই সময়টা আসবে। আলহামদুলিল্লাহ এখন সেটি পূরণ হয়েছে।

‘দেখেন আপনি যখন ভালো খেলবেন তখন আপনাকে সবাই বাহবা দেবে। খারাপ খেললে মজা-ট্রল এগুলো হবেই। আর এসব শুনেই ভালো খেলে সামনে এগোতে হবে। তবে বাহবা দিলে ভালো তো সবারই লাগে। আবার গালি দিলে খারাপ লাগবে। এগুলো নিয়েই সামনে এগিয়ে যেতে হবে। এসব আমাকে এত ভাবায় না।’

আরও পড়ুন >> আফগানদের বিপক্ষে ওয়ানডে দলে আফিফ-নাঈম

সুযোগ পেলে নিজের জায়গা পাঁকা করতে আলাদা কিছু করতে চান কিনা?
নাঈম : না, আলাদা করে কোনো কিছু চিন্তা করছি না। যেভাবে রান করেছি একইভাবেই রান করার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ। আলাদাভাবে কোনো প্লানিং বা অন্যকিছু না, জাস্ট নিজের সফল হওয়া সঠিক প্ল্যানটা নিয়েই এগোতে চাই।

জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ে আলাদা করে ব্যাটিং নিয়ে কী কাজ করেছেন?
নাঈম : আসলে অনেকগুলো কাজই করেছি। জাতীয় দলে থাকাকালীন ব্যাট করতে গিয়ে যে ভুলগুলো করেছি সেই জায়গায় ফোকাস করেছি। কিভাবে সেখান থেকে উন্নতি করা যায়। সব রকমের উইকেটে কিভাবে ভালো করা যায়। আলাদাভাবে প্রতিটি জায়গায় কাজ করেছি বিপিএল, এনসিএল বা ডিপিএলের সময়। সে কারণে ডিপিএল বা বিসিএলে ভালো করতে পেরেছি।

নাঈমের বিশ্বাস, ইনশাআল্লাহ আমার আশা এবার আমরা বিশ্বকাপ জিতবো। এছাড়া কিছু ভাবছি না। বাকিটা আল্লাহ ভরসা।

জাতীয় দলের বাইরে এই দীর্ঘ সময়ে কোনো কোচের সঙ্গে কি কাজ করেছেন?
নাঈম : বিশেষ কোনো কোচ না। ছোট বেলা থেকে আমি যার আন্ডারে ক্রিকেট খেলা শুরু করি মোখলেসুর রহমান বাবলু স্যার, তার সঙ্গে কাজ করেছি। আমি শেষ যখন ডিপিএল খেলতে এসেছি তখন স্যার আমাকে ছোট ছোট কিছু কাজ দেখিয়ে দিয়েছিলেন। ওগুলো আমি ধারাবাহিক করেছি যে কারণে সফলতা পাওয়া, আল্লাহর রহমতে। আর আলাদা করে শাহরিয়ার নাফীস এবং আফতাব ভাইয়ের কথা বলতেই হয়। বিপিএলের সময় তারা বেশ সাপোর্ট দিয়েছেন। এছাড়া নাইম ইসলাম ভাইয়ের সঙ্গেও সবসময় কথা বলি আমি। উনি আমার যেকোনো ধরনের সমস্যা হলে টিপস দিয়ে থাকেন। ওনি আমার নাইনটিনের পর থেকেই পরিচিত। তারা সবাই খুব সাহায্য করেছে ব্যাক করতে। তবে বড় কাজের জন্য বাবলু স্যারই সাহায্য করেছেন।

সমালোচনা, ট্রল ঠেলে শান্ত এখন পারফর্মার, যা আপনাকে নিয়েও হয়। এটি কিভাবে দেখেন?
নাঈম : দেখেন আপনি যখন ভালো খেলবেন তখন আপনাকে সবাই বাহবা দেবে। খারাপ খেললে মজা-ট্রল এগুলো হবেই। আর এসব শুনেই ভালো খেলে সামনে এগোতে হবে। তবে বাহবা দিলে ভালো তো সবারই লাগে। আবার গালি দিলে খারাপ লাগবে। এগুলো নিয়েই সামনে এগিয়ে যেতে হবে। এসব আমাকে এত ভাবায় না। ভালো বললে ভালো লাগে, খারাপ বললে ইগনোর করার চেষ্টা করি। নিজের কাজের উপর বিশ্বাস রেখে সামনে এগোতে চাই।

ভারত বিশ্বকাপে কেমন করবে বাংলাদেশ
নাঈম : ইনশাআল্লাহ আমার আশা এবার আমরা বিশ্বকাপ জিতবো। এছাড়া কিছু ভাবছি না। বাকিটা আল্লাহ ভরসা।

এসএইচ/এএইচএস