ছবি: সংগৃহীত

মিরপুরের উইকেটের চরিত্র বোঝা বরাবরই বেশ কষ্টসাধ্য কাজ। তবে বেশিরভাগ সময়ই এই রহস্যের জাল ভেদ করে বাড়তি সুবিধা পেয়েছেন স্পিনাররা। কিন্তু আফগানিস্তানের বিপক্ষে চলমান টেস্টের চিত্রটা একেবারেই বিপরীত। মিরপুরের হালকা ঘাসের উইকেটে রাজত্ব করেছেন পেসাররা। আর তাতে ঢাকা টেস্টে পাত্তাই পেল না সফরকারীরা।

টস হেরে ব্যাটিং পাওয়া বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে করে ৩৮২ রান। জবাবে নিজেদের ১ম ইনিংসে ১৪৬ রানে অলআউট হয় আফগানিস্তান। ২৩৬ রানের লিড থাকার পরও সফরকারীদের ফলোঅন না করিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে স্বাগতিকরা। শান্ত আর মুমিনুলের দুই সেঞ্চুরিতে ৪ উইকেটে ৪২৫ রান তোলার পর ইনিংস ঘোষণা করেন অধিনায়ক লিটন। ৬৬২ রানের বিশাল লক্ষ্য দাঁড়ায় আফগানদের সামনে। সেই লক্ষ্য তাড়ায় খেলতে নেমে ৪র্থ ইনিংসে ১১৫ রানে অলআউট হয় সফরকারীরা। ফলে সিরিজের একমাত্র টেস্টে ৫৪৬ রানের বড় জয় পায় বাংলাদেশ।

গত দিনের ২ উইকেটে ৪৫ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করেছিল আফগানিস্তান। পাহাড়সম লক্ষ্যের চাপ এদিনও তাদের ব্যাটে ফুটে উঠেছে। সকাল বেলা উইকেট থেকে যেটুকু বাড়তি সুবিধা নেয়ার তার সবটাই নিয়েছেন বাংলাদেশি পেসাররা। চতুর্থ দিনে সাফল্যের দেখা পেতে বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হয়েছে মাত্র ১৫ বল।

১৪তম ওভারের তৃতীয় বলটি অফ স্টাম্পের ওপর গুড লেন্থে রেখেছিলেন এবাদত হোসেন। সেখানে ডিফেন্স করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরেছেন নাসির জামাল। 

এরপর পাঁচে নেমে সুবিধা করতে পারেননি আফসার জাজাইও। ৬ রান করা এই উইকেটকিপার ব্যাটারকে ১৯তম ওভারের ১ম বলে ফিরিয়েছেন শরিফুল ইসলাম। এই বাঁহাতি পেসার বাড়তি বাউন্স আর গতিতে রীতিমতো ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন।

নিজের পরের ওভারে আরও একবার আফগান শিবিরে শরিফুলের আঘাত। এবার তার শিকার বাহির শাহ। ২১তম ওভারের ৫ম বলটি শর্ট লেন্থে করেছিলেন শরিফুল, সেখানে আউটসাইড এজে তাইজুলের হাতে ধরা পড়েন অভিষিক্ত এই ব্যাটার।

শেষদিকে রহমত শাহ-করিম জানাতরাও সুবিধা করতে পারেননি। বাংলাদেশের পেসারদের তোপের মুখে রীতিমতো চোখে সর্ষে ফুল দেখেছনে সফরকারী ব্যাটাররা। শেষতক ১১৫ রানে অলআউট হয়ে যান তারা।

আরও পড়ুন>>> নতুন চাকরি পেলেন ডমিঙ্গো

বাংলাদেশের হয়ে ৪ উইকেট শিকার করে ইনিংস সেরা বোলার তাসকিন। দুই ইনিংসে মিলিয়ে নামের পাশে ৫টি করে উইকেট যোগ করেছেন শরিফুল ইসলাম ও এবাদত হোসেন।

এইচজেএস