আসন্ন এশিয়া কাপের ভেন্যুকে কেন্দ্র করে যেন আরেকটা ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ দেখে ফেলল ক্রিকেট বিশ্ব। পাকিস্তানে গিয়ে ভারতের খেলতে না চাওয়া এবং তার জবাবে ভারত বিশ্বকাপ বয়কটের হুমকিতে টানা অনেকদিন ধরেই অস্থিরতা লেগে ছিল দক্ষিণ এশিয়ার ক্রিকেটে। যার কারণে ভেস্তে যেতে বসেছিল এবারের এশিয়া কাপ। তবে এবার নাটকের সমাপ্তি হলো। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) এক বিবৃতিতে আসন্ন টুর্নামেন্টটির ভেন্যু ও সূচি চূড়ান্ত করেছে। 

আজ (বৃহস্পতিবার) বিকেলে এক বিবৃতিতে এসিসি জানিয়েছে, আগামী ৩১ আগস্ট থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছয় দেশ (ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও সহযোগী সদস্য দেশ হিসেবে খেলবে নেপাল) নিয়ে মাঠে গড়াবে এশিয়া কাপ। ভেন্যু হিসেবে পাকিস্তানের প্রস্তাবিত হাইব্রিড মডেলকেই বেছে নিল এসিসি। 

ওয়ানডে বিশ্বকাপকে সামনে রেখে ওডিআই ফরম্যাটে এবারের এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে থাকছে সর্বমোট ১৩টি ম্যাচ। দুটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে আয়োজিত হবে আসরটি। প্রতিটি গ্রুপ থেকে দুটি দল সুপার ফোরে খেলার জন্য যোগ্যতা অর্জন করবে। সুপার ফোর পর্বের শীর্ষ দুই দল ফাইনালে মুখোমুখি হবে।

পাকিস্তানের দেওয়া প্রস্তাব অনুসারে এশিয়া কাপে গ্রুপ পর্বের প্রথম চারটি ম্যাচ তাদের মাটিতে অনুষ্ঠিত হবে। ভারত এবং টুর্নামেন্টের ফাইনালসহ বাকি ম্যাচগুলো নিরপেক্ষ ভেন্যু শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত হবে। পাকিস্তানে হওয়া গ্রুপ পর্বের এক ম্যাচে পাকিস্তান ও নেপাল মুখোমুখি হবে। এছাড়া শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তানেরও একটি করে ম্যাচ হবে পাকিস্তানে।

এর আগে বিসিসিআই সচিব জয় শাহ এবং এসিসির চেয়ারম্যান পাকিস্তানের প্রস্তাবিত মডেল অগ্রহণযোগ্য বলে জানিয়েছিলেন। পরবর্তীতে সেই বিষয়ে আইপিএলের ফাইনালের পর পাকিস্তান বাদে এশিয়া কাপের অন্য সদস্য দেশগুলোর প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেন জয় শাহ। যেখানে টুর্নামেন্টটির সবগুলো ম্যাচই একক ভেন্যু শ্রীলঙ্কায় আয়োজনের প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু এরপরই আগের অবস্থান থেকে ইউটার্ন নেয় বিসিসিআই। জানা যায়, বিসিসিআই হাইব্রিড মডেল মেনে নিতে আগ্রহী। ভারতীয় বোর্ডের সুর নরমের পরই এসিসির চূড়ান্ত ঘোষণা আসল। 

তবে ভারতের হঠাৎ নমনীয়তার পেছনে কারণ হিসেবে জানা যাচ্ছে, পাকিস্তানের ভারত বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ নিশ্চিতের কথা। আগামী ১৫ অক্টোবর আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে দেশ দুটির মুখোমুখি হওয়ার কথা রয়েছে। 

এফআই