দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর সমঝোতা, আহমেদাবাদেই পাক-ভারত ম্যাচ
এশিয়া কাপকে কেন্দ্র করে নতুন দ্বন্দ্বে জড়ায় পাকিস্তান ও ভারতের ক্রিকেট বোর্ড। পাকিস্তানে গিয়ে ভারতের খেলতে না চাওয়া এবং তার জবাবে ভারত বিশ্বকাপ বয়কটের হুমকিতে টানা অনেকদিন ধরেই অস্থিরতা লেগে ছিল। অবশেষে বরফ গলারই ইঙ্গিত। ক্রীড়া বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো জানিয়েছে, পাকিস্তানের দেওয়া হাইব্রিড মডেলেই এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তাদের সেই প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)। এবার নতুন খবর, বিশ্বকাপ নিয়েও সমঝোতায় পৌঁছেছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশের বোর্ড।
চলতি বছরের অক্টোবরে ভারতের মাটিতে বসছে ওয়ানডে বিশ্বকাপের আসর। বিশ্বকাপের চূড়ান্ত সূচি এখনো প্রকাশ করেনি আয়োজক ভারত ও আইসিসি। তবে ক্রিকবাজের এক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, আগামী ৫ অক্টোবর ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ডের ম্যাচ দিয়ে পর্দা উঠবে বিশ্বকাপের। এছাড়া ভারত-পাকিস্তান হাইভোল্টেজ ম্যাচটি মাঠে গড়াবে আগামী ১৫ অক্টোবর আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে।
বিজ্ঞাপন
আগে থেকেই আভাস পাওয়া যাচ্ছিল, পাক-ভারত মহারণের জন্য আহমেদাবাদকেই বেছে নিতে চায় ভারতীয় বোর্ড। কেননা, লাখের বেশি ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ওই মাঠে সংস্থাটি এই ম্যাচের অধিক মুনাফা তুলতে চায়। এছাড়া দিনক্ষণও নির্ধারণ করা হচ্ছে রোববার। ভারতের সাপ্তাহিক ছুটির দিনে।
তবে এখানে আপত্তি ছিল পাকিস্তানের। ভেন্যু হিসেবে আহমেদাবাদকে নিরাপদ ভাবছে না তারা। ভারতীয় গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পিসিবি চেয়ারম্যান নাজাম শেঠি বলেছিলেন, যখন শুনলাম পাকিস্তানের ম্যাচ আহমেদাবাদে হতে পারে, আমি হাসলাম এবং নিজেকেই বললাম, ভারতে না যাওয়ার একটা কারণ হতে পারে এটা। তার পরিবর্তে যদি চেন্নাই বা কলকাতার কথা বলা হতো সেটিও একটা কথা ছিল।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দৈনিক জাগরণের বরাত দিয়ে ক্রিকেট পাকিস্তান জানিয়েছে, আহমেদাবাদে বিশ্বকাপ ম্যাচ খেলার ব্যাপারে ‘সবুজ সংকেত’ দিয়েছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের বিশ্বকাপ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে কদিন আগে দেশটিতে সফর করেছিলেন আইসিসি প্রেসিডেন্ট গ্রেগ বার্কলে। আর এরপরই পাকিস্তানের প্রস্তাবিত হাইব্রিড এশিয়া কাপে খেলার ব্যাপারে সম্মতি জানায় বিসিসিআই।
২০১৬ সালের পর আবারো ভারতের মাটিতে মুখোমুখি হচ্ছে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। আগামী ১৫ অক্টোবর আহমেদাবাদে পাক-ভারত দ্বৈরথ হওয়ার কথা রয়েছে।
এফআই