দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে উঠেছিল ভারত। কিন্তু প্রথমবারের মতো ফাইনাল খেলা অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে বেশ পিছিয়ে আছে রোহিত শর্মার দল। যদিও তৃতীয় দিনে ভারত কিছুটা ম্যাচে ফিরেছে। ফলো-অন এড়ানোর পর মাত্র ১২৩ রানে অস্ট্রেলিয়ার চার উইকেট তুলে নিয়েছে তারা। কিন্তু ততক্ষণে অস্ট্রেলিয়া ২৯৬ রানের লিড পেয়ে গেছে। চতুর্থ দিনের শুরুতে প্যাট কামিন্সের দল সেটি আরও বাড়িয়ে নিতে চাইবে নিশ্চয়ই। তবে প্রথম ইনিংসে বোলিংয়ে তোপ দাগানো মিচেল স্টার্করা এবার রীতিমতো হুমকি দিয়ে রাখলেন।

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হওয়ার পরে দ্বিতীয় ইনিংসে বড় রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে জেতার কোনো রেকর্ড নেই বললেই চলে। ব্রেন্ডন ম্যাককালামের অধীনে বেন স্ট্রোকসের দল নিজেদের আক্রমণাত্মক ভঙ্গি নিয়ে খেলা শুরুর পর ৩৭৮ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এজবাস্টনে ভারতের বিপক্ষে জিতেছে গত বছর।

ভারতীয় বোলাররা লড়াই করলেও তাদের জেতার আশা খুব কম তা বোঝাই যাচ্ছে। তবে প্রত্যেককেই জানেন ফাইনাল ম্যাচের পরিস্থিতি সব সময় আলাদা হয়। নিজেদের সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করে প্রতিপক্ষ দল। তাই আগে থেকে ম্যাচ ঘোষণা (ডিক্লেয়ার) করে দেওয়া হিতে বিপরীত হতে পারে অস্ট্রেলিয়ার জন্য। সেই প্রসঙ্গ ধরেই ভারতকে বড় রানের নিচে পিষে ফেলতে চান মিচেল স্টার্ক, ‘আমি এখনও প্যাটের (কামিন্স) সঙ্গে এই বিষয়ে কোনো কথা বলিনি। তাই আমি ডিক্লেয়ার দেওয়ার বিষয়ে কিছু জানিনা। এটা আমার সিদ্ধান্ত নয়, কিন্তু আমি মনে করি এখনও আমাদের ব্যাট করে যাওয়া উচিত।’

আরও পড়ুন >> আবারও বল টেম্পারিংয়ের অভিযোগ অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে

দুর্দান্ত গতিতে ব্যাটারদের নাজেহাল করা এই পেসার বলেন, ‘আমরা এখনও দুদিন খেলব এখানে। আবহাওয়া ভালো রয়েছে। তবে আমার মনে হচ্ছে শনিবার কিছুটা গরম থাকবে। পিচে কিছু পরিবর্তন হতে পারে। কিন্তু যতদূর আমি জানি, আমরা এখনও আগামীকাল পুরো ব্যাটিং করব।’

ওভাল টেস্ট জিততে হলে ভারতকে ১২১ বছরের রেকর্ড ভাঙতে হবে। ১৯০২ সালে ইংল্যান্ড অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এই মাঠে ২৬৩ রান তাড়া করে ম্যাচ জেতে। এটাই এখনও পর্যন্ত এই মাঠে এটাই সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতা ম্যাচ। এছাড়া টেস্ট ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করা সব সময় কঠিন হয়ে পড়ে। এই ম্যাচেও দৃশ্যমান হয়েছে সেই দৃশ্য। বোলাররা অতিরিক্ত বাউন্স পাচ্ছেন পিচ থেকে। পিচ সম্পর্কে স্টার্ক বলেন, ‘পিচে যা পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে তা কিছুটা অসঙ্গতির। টস হেরে যাওয়াটা ভালো বলে মনে হচ্ছে। তবে আবহাওয়ারও কিছু পরিবর্তন হচ্ছে। শনিবার এখানে কিছুটা গরম থাকবে। তাই ম্যাচ চলাকালীন অনেক কিছু পরিবর্তন ঘটতে পারে।’

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম আসরেও গতবছর ফাইনাল খেলেছিল ভারত। সেখানে তাদেরকে পরাজিত করে একমাত্র আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতে নেয় নিউজিল্যান্ড।

এএইচএস