চুক্তিতে না থাকলেও বিশ্বকাপে খেলবেন বোল্ট
নিউ জিল্যান্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে স্বেচ্ছায় মুক্তি নিলেও জাতীয় দলে ট্রেন্ট বোল্টের অধ্যায় শেষ নয় এখনই। ভারতে অনুষ্ঠেয় আগামী বিশ্বকাপে অভিজ্ঞ এই বাঁহাতি পেসারকে দলে নেওয়া হবে বলে জানিয়ে রাখলেন নিউ জিল্যান্ডের কোচ গ্যারি স্টেড।
পরিবারকে বেশি সময় দেওয়ার জন্য গত অগাস্টে নিউ জিল্যান্ডের চুক্তি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার কথা জানান বোল্ট। তার সিদ্ধান্তের পেছনে আরেকটি কারণ ছিল বিশ্বজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোতে নির্বিঘ্নে খেলতে পারা। গত নভেম্বরের পর জাতীয় দলের জার্সিতে আর দেখা যায়নি ৩৩ বছর বয়সী পেসারকে। নিউ জিল্যান্ডের ২০২৩-২৪ মৌসুমের চুক্তির প্রস্তাব যাদের দেওয়া হয়েছে, সেই তালিকা প্রকাশ করা হয় বৃহস্পতিবার। অনুমিতভাবেই সেখানে নেই বোল্ট।
বিজ্ঞাপন
চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ানোর সময় বোল্ট বলেছিলেন, সময় হলেই জাতীয় দলের হয়ে খেলবেন তিনি। আবার কবে তাকে দেখা যাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে, তা নিশ্চিত নয় এখনও। তবে ভারতে বিশ্বকাপে তাকে যে দেখা যাবে, সংবাদমাধ্যমকে তা অনেকটা নিশ্চিত করে দিলেন স্টেড।
'সে ইঙ্গিত দিয়েছে যে বিশ্বকাপে তাকে পাওয়া যাবে। ওয়ানডেতে সে বিশ্বের সেরা বোলারদের একজন। কাজেই ইনজুরি না হলে, আমাদের বিশ্বকাপ দলে তার জায়গা পাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।'
২০১৫ বিশ্বকাপে ৯ ম্যাচে ২২ উইকেট নিয়ে যৌথভাবে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ছিলেন বোল্ট। ২০১৯ আসরে নিয়েছিলেন ১০ ম্যাচে ১৭ উইকেট। বিশ্বকাপে তো বটেই, এমনকি মাঝেমধ্যে টেস্ট ক্রিকেটেও বোল্টকে দেখা যেতে পারে বলে জানালেন কোচ, 'আমরা এখনও এটা নিয়ে কাজ করছি… তবে আলোচনা এখনও পর্যন্ত ইতিবাচক।'
নিউ জিল্যান্ডের চুক্তির ২০ জনের তালিকায় তেমন কোনো চমক নেই। ৫ বছর পর ফিরেছেন ফাস্ট বোলার অ্যাডাম মিল্ন। জায়গা পাননি বাঁহাতি স্পিনার এজাজ প্যাটেল। বোল্টের মতো গত মৌসুমের চুক্তির মাঝপথে সরে দাঁড়িয়েছিলেন কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম ও মার্টিন গাপটিলও। তারা এবারও নেই যথারীতি। আরও আগেই নিজেকে সরিয়ে নেওয়া অলরাউন্ডার জিমি নিশাম নেই এবারও।
চুক্তির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে যাদের: ফিন অ্যালেন, টম ব্লান্ডেল, মাইকেল ব্রেসওয়েল, মার্ক চাপম্যান, ডেভন কনওয়ে, লকি ফার্গুসন, ম্যাট হেনরি, কাইল জেমিসন, টম ল্যাথাম, অ্যাডাম মিল্ন, ড্যারিল মিচেল, হেনরি নিকোলস, গ্লেন ফিলিপস, মিচেল স্যান্টনার, ইশ সোধি, টিম সাউদি, ব্লেয়ার টিকনার, নিল ওয়্যাগনার, কেন উইলিয়ামসন, উইল ইয়াং।
এইচজেএস