বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল
ভারতের বিপক্ষে নামার আগে প্রেরণা মানছেন কোহলিকে
বহুল প্রতীক্ষিত বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল শুরু হচ্ছে আগামী ৭ জুন থেকে। ইংল্যান্ডের ওভালে চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় আসরের শিরোপার লড়াইয়ে ভারত-অস্ট্রেলিয়া মুখোমুখি হবে। সেই ম্যাচটি নিয়ে পুরোদমে প্রস্তুতি নিচ্ছে দু’দল। একইসঙ্গে সাবেক ক্রিকেটাররা নানামুখী পরিসংখ্যান ও জয়-পরাজয়ের সম্ভাব্যতা তুলে ধরছেন। তবে ভারতের বিপক্ষে নামার আগে তারকা ব্যাটার বিরাট কোহলিকেই প্রেরণা মনে করছেন অস্ট্রেলিয়ান পেসার জস হ্যাজলউড।
সদ্য সমাপ্ত আইপিএলের ১৬তম আসরে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (আরসিবি) হয়ে বিরাট কোহলির সঙ্গে খেলেছিলেন হ্যাজলউড। ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ খেলতে না পারা এই পেসার তখনও অ্যাকিলিসের ইনজুরিতে ছিলেন। পরবর্তীতে আইপিএলের মাঝপথে বেঙ্গালুরু শিবিরে যোগ দিলেও, বেশি আর খেলা হয়নি তার। পরে অবশ্য বেঙ্গালুরুও আইপিএলের প্লে-অফে উঠতে পারেনি, বিদায় হয়েছে প্রথম রাউন্ড থেকে। তবে সেখানে খুব বেশি দেখা না হলেও, টেস্টে আইপিএল সতীর্থ কোহলি-হ্যাজলউড মুখোমুখি দেখায় নামবেন।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন >> যে কারণে জাতীয় দলের সঙ্গে যাননি গায়কোয়াড়
সেই ম্যাচে নামার আগে ফর্মে থাকা কোহলি স্বাভাবিকভাবেই ছন্দে রয়েছেন। অন্যদিকে, কোহলি-রোহিত শর্মাদের বিপক্ষে গতির ঝড় তুলতে প্রস্তুত প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্ক ও হ্যাজলউডরা। দুটি সেঞ্চুরির মাধ্যমে সেরা ব্যাটারদের সামনের সারিতে থাকা কোহলির মুখোমুখি হওয়ার আগে হ্যাজলউড তাকে প্রেরণা মনে করছেন। কোহলির পরিশ্রম ও ব্যাটিং-ফিল্ডিংয়ে নজরকাড়া ফিটনেসের কথা এর সঙ্গে যুক্ত করেছেন অজি পেসার।
— ICC (@ICC) May 31, 2023
আইসিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হ্যাজলউড বলেন, ‘বিরাটের পরিশ্রমই ওর সাফল্যের কারণ। দুর্দান্ত ফিটনেস। এছাড়া ব্যাটিং এবং ফিল্ডিং তো রয়েছেই। সে যে কঠিন অনুশীলন করে তাতে দলের বাকিরাও শক্তি পায়। ওর পরিশ্রম দেখে বাকিরাও নিজেদের আরও উন্নতি করার চেষ্টা করে। গোটা দল অনুসরণ করে তাকে।’
বেঙ্গালুরুতে মোহাম্মদ সিরাজের সঙ্গেও খেলেছেন হ্যাজলউড। দলের হয়ে এই আসরে সবচেয়ে বেশি উইকেটও সিরাজ নিয়েছেন। তার প্রসঙ্গে অস্ট্রেলিয়ান ডান-হাতি পেসার বলেন, ‘আরসিবিতে আমি এ বছর একটু দেরিতে যোগ দিয়েছিলাম। সিরাজ প্রথম থেকেই ছন্দে ছিল। বল হাতে দাপট দেখাচ্ছিল ব্যাটারদের উপর। বেঙ্গালুরুর ছোট মাঠে বল করা খুব কঠিন। সেখানে সিরাজ ওভারপ্রতি মাত্র ছয় রান দিচ্ছিল। বলের ওপর দখল না থাকলে এটা সম্ভব নয়।’
এএইচএস