শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনালে শেষ ওভারে চেন্নাই সুপার কিংসের জয়ের জন্য দরকার ছিল ১৩ রান। প্রথম তিন বলেই ইয়র্কার লেন্থে বল করেছেন মোহিত শর্মা। খরচ করেছেন মাত্র দুই রান। চতুর্থ বলটি লো ফুলটস থাকলেও শিবাম দুবে এক রানের বেশি নিতে পারেননি। তখন ম্যাচের পেন্ডুলাম দুলছিল দু’দিকেই। শেষ দুই বলে চেন্নাইয়ের ১০ রান দরকার ছিল। বিশ্বের যে কোনো ব্যাটারের জন্যই কাজটা কঠিন। তবে কঠিন কাজটাই সহজ বানিয়ে ফেলেন জাদেজা।

২ বলে ১০ রানের সমীকরণ পঞ্চম বলে ছয় হাঁকিয়ে ম্যাচের লাগামে টান দেন জাদেজা। বাকি কাজটাও তিনিই সেরেছেন। ডান পায়ে উড়ে আসা ফুলটস বল পেছনে ঠেলে দিয়ে দৌড়। বল ততক্ষণে সীমানাদড়ি পেরিয়ে গেছে।

ম্যাচ শেষে মোহিতের করা ইনিংসের শেষের ওভারটি নিয়ে তুমুল আলোচনা হচ্ছে। বিশেষ করে দারুণ শুরু করা মোহিত শেষ দুই বলে কেন নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারলেন না। কি এমন হয়েছিল? বিশ্লেষকদের কাঠগড়ায় ওভারটি চলাকালে ড্রিংকস পানের বিষয়টি। শেষ দুই বলের আগে ড্রিংকস আর পরামর্শ নিয়ে একাদশের বাইরে থাকা ক্রিকেটারকে মাঠে পাঠান গুজরাট কোচ আশিষ নেহেরা। অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়াকেও এ সময় কথা বলতে দেখা যায় মোহিতের সঙ্গে। এরপর যে দুটি বল মোহিত করেছেন সেই দুই বলই নিজের লেংথ মিস করেছেন।

ক্রিকইনফোর ম্যাচ পরবর্তী অনুষ্ঠানে ভারতীয় ধারাভাষ্যকার সঞ্জয় মাঞ্জেরেকার এ বিষয়ে বলেন, ‘তিনটা দুর্দান্ত ইয়র্কার, তাও বিধ্বংসী দুই ব্যাটারের সামনে। এই সময়ে মাঠে ড্রিংকস নিয়ে আসা হলো। যখন আবার সে বোলিং মার্কে যাচ্ছিল, মোহিতকে কিন্তু শান্ত ও আত্মবিশ্বাসী লাগছিল। কেন শুধু শুধু ছন্দটা নষ্ট করা হলো? ধোনি হলে উইকেটের পেছন থেকে কিছু করত না, বোলারকে তার মতো বল করতে দিত। বলছি না, তারা এই কারণেই হেরেছে। তবে আমার মনে হয় না এটা ভালো কৌশল ছিল।’

গুজরাটের এমন কর্মকাণ্ড নিয়ে বিস্মিত টম মুডিও। এভাবে ড্রিংকস করানোর বিষয়টি মানতে পারছেন না তিনি। 

এফআই