আইপিএলে বড় ম্যাচ পেলেই জ্বলে ওঠে ঋদ্ধিমান সাহার ব্যাট। ২০১৪ আসরের ফাইনালেও তিনি পাঞ্জাব কিংসের হয়ে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন। এবার সবচেয়ে বেশি বয়সী হিসেবে ফিফটি করেছেন বর্তমানে গুজরাট টাইটান্সের এই ওপেনার। ৩৮ বছর ২১৭ দিন বয়সে ঋদ্ধিমান এই নজির গড়লেন। একইসঙ্গে একমাত্র ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে আইপিএলের দুটি ফাইনালে পঞ্চাশোর্ধ ইনিংস খেলার রেকর্ড গড়েছেন এই ডানহাতি ব্যাটার। তার এমন নজির গড়ার দিনে টুর্নামেন্টের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা ২১৪ রানের বড় পুঁজি পেয়েছে।

আরও পড়ুন >> সুদর্শন ঝড়ের পর ফাইনালে বৃষ্টির হানা

এর আগে সবচেয়ে বেশি বয়সে ফাইনালে হাফসেঞ্চুরির রেকর্ডটি ছিল অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার শেন ওয়াটসনের। তিনি ২০১৯ সালে ৩৭ বছর ৩২৯ দিন বয়সে আইপিএলের ফাইনালে হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন। ২০১৮ সালের ফাইনালেও চেন্নাইয়ের হয়ে ৩৬ বছর ৩৪৪ দিন বয়সে আইপিএল ফাইনালে সেঞ্চুরি করেছিলেন এই অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটার। এছাড়া ২০২১ সালে আবার ফাফ ডু প্লেসি ৩৭ বছর ৯৪ দিন বয়সে এবং ২০১২ সালে মাইক হাসি ৩৭ বছর বয়সে এই কীর্তি অর্জন করেছিলেন।

ঋদ্ধিমান প্রথম ভারতীয় প্লেয়ার হিসেবে দুটি আইপিএল ফাইনালে ৫০-এর বেশি রান করেছেন। এদিনের ৫৪ রানের পাশাপাশি ২০১৪ আইপিএল ফাইনালে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের (বর্তমানে পঞ্জাব কিংস) হয়ে অপরাজিত ১১৫ রানের স্কোর করেছিলেন তিনি। এখানেই শেষ নয়। আইপিএল ফাইনালে ঋদ্ধির পরিসংখ্যান বেশ চমকপ্রদ। ৮৭ ব্যাটিং গড় নিয়ে তার স্ট্রাইকরেট ১৭২।

আরও পড়ুন >> ‘গিল’ হলেন সুদর্শন, ধোনিদের বড় টার্গেট দিল গুজরাট

এর আগে ঋদ্ধিমান সাহা কলকাতায় ছিলেন, শাহরুখের নাইট রাইডার্সের হয়েও। এরপর তিনি ত্রিপুরায় চলে যান। সেখানে ত্রিপুরা দলের অধিনায়ক ও মেন্টরের দায়িত্বও সামলেছেন তিনি। পরবর্তীতে স্থানীয় ক্রিকেট বোর্ডের কর্তারা ঋদ্ধিমানের দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। এরপর ভারতীয় টেস্ট দল থেকে ছিটকে যান এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। জাতীয় দলের প্রধান কোচের দায়িত্বে এসে রাহুল দ্রাবিড় বয়স হয়েছে বলে তাকে ছেঁটে ফেলেছিলেন। এরপর আর জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপানোর সুযোগ হয়নি তার। তবে চলতি আইপিএল আসরে যেন সব অপমান-বঞ্চনারই যেন জবাব দিয়ে চলেছেন ঋদ্ধিমান। বয়সকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে তিনি আবারও নিজের সামর্থ্যের জানান দিয়েছেন।

এএইচএস