এশিয়া কাপের জট খুলছে, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ২৮ মে
ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্বের কারণে অনিশ্চয়তার সুতোয় ঝুলছে এশিয়া কাপের ভাগ্য। ভারতের আপত্তির মুখে ইতোমধ্যে আয়োজক পাকিস্তানের পক্ষ থেকে একাধিক মডেলের প্রস্তাবনা আসলেও কোনো কিছুতেই যেন মন গলছে না চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের। অবশেষে টুর্নামেন্টটি আয়োজন নিয়ে দীর্ঘ টানাপড়েনের অবসান হতে যাচ্ছে বলেই খবর। আগামী রোববার (২৮ মে) আইপিএলের ফাইনালের পরপরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন বিসিসিআই সদস্য সচিব জয় শাহ।
এবারের এশিয়া কাপের আয়োজক পাকিস্তান। কিন্তু দেশটিতে সফর করতে চায় না ভারত। এমন পরিস্থিতিতে হাইব্রিড মডেলের প্রস্তাবনা দিয়েছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তাদের দেওয়া দু’টি হাইব্রিড মডেলের মধ্যে একটি ছিল, ভারতের ম্যাচগুলো নিরপেক্ষ ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে। অন্যসব ম্যাচগুলো পাকিস্তানের মাটিতে হবে। অন্য বিকল্প ছিলো, গ্রুপ পর্বের প্রথম চারটি ম্যাচ পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় পর্বে ভারতের ম্যাচসহ ফাইনাল হবে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে।
বিজ্ঞাপন
দ্বিতীয় প্রস্তাব অনুসারে, লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের প্রথম পর্বের চারটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। পরের ম্যাচগুলো হবে দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত। এক্ষেত্রে শারজাহ এবং আবুধাবির চেয়ে দুবাইতে টিকিট বেশি বিক্রির সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখেছে পিসিবি। দুটি ধাপে হতে পারে এশিয়া কাপ। যদিও অতিরিক্ত গরমের কারণে সংযুক্ত আরব আমিরাতে গিয়ে খেলতে রাজী নয় বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা।
আর তাই টুর্নামেন্টটি দুয়ারে থাকলেও ভেন্যু নিয়ে জটিলতার সুরাহা মেলেনি। তবে এবার ইতিবাচক খবরই দিলেন বিসিসিআই সদস্য সচিব ও এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সভাপতি জয় শাহ। জানা গেছে, আইপিএলের ফাইনালে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড প্রধানরা আমন্ত্রিত হয়ে যাবেন আহমেদাবাদে। সেখানে জয় শাহর সঙ্গে বৈঠক হবে তাদের। এই বৈঠকেই মূলত এশিয়া কাপের ভাগ্য নির্ধারিত হতে পারে।
জয় শাহ বলেন, ' বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের সম্মানিত সভাপতিরা আইপিএল ফাইনাল দেখতে আহমেদাবাদ আসবেন। আমরা তাদের সঙ্গে এশিয়া কাপ নিয়ে আলাপ করব।' উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১-১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এশিয়া কাপ মাঠে গড়ানোর কথা রয়েছে।
এফআই