আইপিএল ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে খেলছেন বিরাট কোহলি। বেশ কয়েকবার শিরোপার দ্বারপ্রান্তে গিয়েও স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে। অথচ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মতো আইপিএলেও তার ব্যাটে রানের ফোয়ারা ছোটে। একের পর এক রেকর্ড নিজের নামে করে নেন। রাজার মতো পারফর্ম করা ভারতীয় এই ব্যাটারের দিনশেষে বড় আক্ষেপ হয়ে থাকতে পারে, শোকেসে এখনও না ওঠা একটা আইপিএল শিরোপা। 

গত বারের আইপিএলে প্লে-অফে উঠলেও এবার লিগ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে। অথচ শেষ ম্যাচে গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে জিতলেই প্লে-অফে ওঠার রাস্তা খুলে যেত আরসিবির। ম্যাচটিতে শতরান করেন কোহলি। কিন্তু রান তাড়া করতে নেমে গুজরাটের হয়ে পাল্টা শতরান করেন শুভমান গিল। তরুণ ব্যাটারের অনবদ্য শতকে ম্যাচ জিতে নেয় গুজরাট। এরপরই ইংল্যান্ডের সাবেক ব্যাটার কেভিন পিটারসেন টুইট করে লেখেন, ‘সময় হয়েছে বিরাটের ক্যাপিটালসে যোগ দেওয়ার।’

এদিকে, দল ছিটকে পড়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় সমর্থক, সতীর্থ ও কোচিং স্টাফসহ সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন কোহলি। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে কোহলি লিখেছেন, দারুণ একটি মৌসুম ছিল কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমরা লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হয়ে গেছি। হতাশ তবে আমাদের মাথা উঁচু রাখতে হবে। আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপে সমর্থন দিয়ে যাওয়ার জন্য সমর্থকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। কোচ, ম্যানেজমেন্ট এবং আমার সতীর্থদের অনেক ধন্যবাদ। আমরা আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরবো।

২০০৮ সাল থেকে আরসিবির হয়ে খেলেন কোহলি। পরবর্তী সময়ে নেতৃত্বেও ছিলেন। ২০২১ সালে অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিলেও দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য তিনি। 

বেঙ্গালুরুর তিন, কোহলির তিন স্বপ্নভঙ্গ 

২০০৯ সালে প্রথমবারের মতো আইপিএলের ফাইনালে উঠেছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। তবে অনিল কুম্বলের নেতৃত্বে তখনকার দল ডেকান চার্জার্সের কাছে ফাইনাল হেরে সেবার শিরোপা হাতছাড়া হয়েছিল আরসিবির।

এক আসর বাদে ২০১১ সালে ফের ফাইনালে উঠেছিল বেঙ্গালুরু। তবে ড্যানিয়েল ভেট্টোরির অধীনে সেবারের দলটাও রানার্স আপ হয়েই আইপিএল মিশন শেষ করেছিল। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু শেষবার ফাইনালে উঠেছিল ২০১৬ সালে। সেবার বিরাট কোহলি, ক্রিস গেইল, এ বি ডি ভিলিয়ার্সদের নিয়েও শিরোপা জয়ের খুব কাছ থেকে ফিরে আসে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। আরসিবির হয়ে এ নিয়ে তিন ফাইনাল হারের তিক্ত স্বাদ নেন কোহলি।